ঢাকা ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

গণপিটুনিতে ৯ মামলার আসামি নিহত

মেলান্দহ : মেলান্দহ থানা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় গণপিটুনিতে রিপন মিয়া (৪২) নামে একজন নিহত হয়েছে। ৬ সেপ্টেম্বর, শনিবার ভোর ৫টার দিকে উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের রেহাই পলাশতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রিপন মিয়া একই এলাকার মোজাম্মেল মিস্ত্রির ছেলে। তার বিরুদ্ধে চুরি, মাদক ও জুয়াসহ নয়টি মামলা রয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৬ সেপ্টেম্বর ভোর ৪টার দিকে চুরি করার জন্য রেহাই পলাশতলা এলাকার প্রয়াত কসর মন্ডলের ছেলে বুরহান উদ্দিনের ঘরে ঢুকেন রিপন মিয়া। বিষয়টি বুঝতে পেরে বুরহান উদ্দিন ও তার পরিবারের লোকজন জেগে উঠে চিৎকার দেন। এ সময় তাদের প্রতিবেশীরা গিয়ে রিপন মিয়াকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। ভোর ৫টার দিকে ঘটনাস্থলেই রিপন মিয়া মারা যান। খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

রিপন মিয়ার বিরুদ্ধে মেলান্দহ থানায় তিনটি চুরি, তিনটি মাদক, একটি জুয়া  এবং জামালপুর সদর থানায় একটি প্রতারণা ও একটি মাদক মামলাসহ মোট নয়টি মামলা রয়েছে।

স্থানীয় রবিউল ইসলাম বলেন, অগে থেকেই রিপন চুরি করতো। এরআগে সে জেলও খেটেছে। আজ চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ছিল। পরে মানুষ তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) স্নেহাশীষ রায় এ প্রতিবেদককে বলেন, গণপিটুনিতে বিভিন্ন মামলার আসামি রিপন মিয়া নিহত হয়েছেন। তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন।

জনপ্রিয় সংবাদ

গরুচুরির অপবাদে ট্রাকচালককে পিটিয়ে হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

গণপিটুনিতে ৯ মামলার আসামি নিহত

আপডেট সময় ০৬:৩৪:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় গণপিটুনিতে রিপন মিয়া (৪২) নামে একজন নিহত হয়েছে। ৬ সেপ্টেম্বর, শনিবার ভোর ৫টার দিকে উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের রেহাই পলাশতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রিপন মিয়া একই এলাকার মোজাম্মেল মিস্ত্রির ছেলে। তার বিরুদ্ধে চুরি, মাদক ও জুয়াসহ নয়টি মামলা রয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৬ সেপ্টেম্বর ভোর ৪টার দিকে চুরি করার জন্য রেহাই পলাশতলা এলাকার প্রয়াত কসর মন্ডলের ছেলে বুরহান উদ্দিনের ঘরে ঢুকেন রিপন মিয়া। বিষয়টি বুঝতে পেরে বুরহান উদ্দিন ও তার পরিবারের লোকজন জেগে উঠে চিৎকার দেন। এ সময় তাদের প্রতিবেশীরা গিয়ে রিপন মিয়াকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। ভোর ৫টার দিকে ঘটনাস্থলেই রিপন মিয়া মারা যান। খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

রিপন মিয়ার বিরুদ্ধে মেলান্দহ থানায় তিনটি চুরি, তিনটি মাদক, একটি জুয়া  এবং জামালপুর সদর থানায় একটি প্রতারণা ও একটি মাদক মামলাসহ মোট নয়টি মামলা রয়েছে।

স্থানীয় রবিউল ইসলাম বলেন, অগে থেকেই রিপন চুরি করতো। এরআগে সে জেলও খেটেছে। আজ চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ছিল। পরে মানুষ তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) স্নেহাশীষ রায় এ প্রতিবেদককে বলেন, গণপিটুনিতে বিভিন্ন মামলার আসামি রিপন মিয়া নিহত হয়েছেন। তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন।