জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মমিনুল ইসলাম মমিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি সীমান্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জামালপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মমিনুল ইসলাম মমিন (১৮)। ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকালে মমিনুল ইসলাম মমিন ও তার ছোটবোন ডোয়াইল ইউনিয়নে নানাবাড়িতে বেড়াতে যায়। সন্ধ্যার পর রাতের খাবার খেয়ে নানার সাথে মুশুদ্দি মাজার ওরস শরিফে বেড়াতে যায়। ওরস শরিফে বেড়ানোর সময় মমিনুল ইসলাম মমিনকে হারিয়ে ফেলেন নানা। পরে নানা তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর না পেয়ে বাডি চলে যনি।
২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে মমিনুল ইসলাম মমিনের মরদেহ ধানক্ষেতে দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে নিহতের পরিবার। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযানে চালিয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলাটির প্রধান আসামি সীমান্তকে (১৯) ধনবাড়ী উপজেলা এলাকা থেকে সীমান্তকে
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চাঁদ মিয়া এ প্রতিবেদককে বলেন, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মমিনুল ইসলাম মমিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ধানক্ষেতে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। তার পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সীমান্তকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যা রঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।