বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারন করে রাজনীতি করতে হবে : প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান

গারাডোবা সিরাতুন্নবী আলিম মাদরাসা প্রাঙ্গণে সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

তথ্য প্রতিমন্ত্রী চিকিৎসক মো. মুরাদ হাসান বলেছেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কেউ আসতে চাইলে তাকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারন করতে হবে। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল দেশ ও দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। তিনি বাংলাদেশকে সোনার বাংলা তৈরি করতে চেয়ে ছিলেন। ঘড়যন্ত্রকারীরা তা করতে দেয়নি।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী ১৬ নভেম্বর বিকালে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের কুঠির হাট উচ্চ বিদ্যালয়ে এডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদার একাডেমি’র চারতলা ভবন নির্মাণ ও গারাডোবা সিরাতুন্নবী আলিম মাদরাসার চারতলা ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা সৃষ্টি করতে চলেছেন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই আমাদের সবাইকে জাতির পিতার আদর্শ বুকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ দুর্নীতি করতে পারবে না। নেত্রী দুর্নীতির বিষয়ে দল ও দলের বাইরে অভিযান শুরু করেছেন। অপরাধির স্থান আওয়ামী লীগে হবেনা।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। রাজাকার আলবদর গোষ্ঠী কোন ষড়যন্ত্র করে এই উন্নয়ন থামিয়ে রাখতে পারবে না। শেখ হাসিনার কাছে উন্নয়নের কথা বলতে হয় না। প্রধানমন্ত্রীও সূর্যের মতো আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন সারাদেশের মানুষের মাঝে। আমাদের কাজ হলো দলকে শক্তিশালী করা। বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা শেখ হাসিনার মতো আমাদেরকেও জনগণের পাশে থেকে তাদের কাজ করে যাওয়া।

মা জহুরা খাতুন কবর স্থানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, এই জনপদের মানুষ এডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদারকে ভুলে যেতে পারে নাই বলে তার নামে একাডেমি ভবনের নামকরণ করেছেন। তিনি জামালপুর আওয়ামী লীগের দূর সময়ের সাথী, তিনি জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করেছেন। কখনো কিছু পাওয়ার চেষ্টা তার ছিলো না। দলীয় নেতাকর্মীর জন্য নিজের জীবন বাজি রাখতেও পিছ পা হয়নি কখনো। জামালপুরের আওয়ামী লীগ পরিবারকে তিনি সন্তানের মতো লালন পালন করেছেন। দেশ ও জনগণের কাজে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আমি সেই এডভোকেট বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়র রহমান তালুকদারের সন্তান। বাবার মতো আপনার পাশে থেকে খেদমত করে যেতে পারি বলেও তিনি বক্তব্য রাখেন।

ভিত্তিপ্রস্তর ও সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন পাঠান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এম এ লতিফ, মোস্তাফিজুর রহমান শাহাজাদা, যুগ্ম সম্পাদক এম এ গনি, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম মানিক, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম, অধ্যক্ষ আবু কক্কর সিদ্দিক প্রমুখ।

আরও পড়ুন : আয়কর ফাঁকি দেওয়া মানে নিজের পায়েই কুড়াল মারা : তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান