মেলান্দহে আব্দুল গনি কুঁড়ের কাব্যগীতি ‘মাতৃকানন’ এর প্রকাশনা উৎসব

কাব্যগীতি ‘মাতৃকানন’ এর মোড়ক উম্মোচন শেষে বইটি হাতে লেখক আব্দুল গনি কুঁড়ে ও অতিথিবৃন্দ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

কুড়িগ্রাম জেলার স্বভাবকবি, গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী আব্দুল গনি কুঁড়ের প্রথম কাব্যগীতি ‘মাতৃকানন’ এর প্রকাশনা উৎসব ১৬ এপ্রিল রাতে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা পরিষদের মির্জা আজম অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেলান্দহ পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ সফিক জাহেদী রবিন এ প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করেন।

বইটির প্রকাশনা উৎসব কমিটির আহ্বায়ক ও মেলান্দহ পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ সফিক জাহেদী রবিনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বইটির মোড়ক উম্মোচন এবং বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কবি মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ। মাতৃকানন বইটি নিয়ে আলোচনা করেন প্রাবন্ধিক ও গবেষক ড. মুহম্মদ হায়দার।

মেলান্দহ পৌরসভার হিসাবরক্ষক মো. মাকসুদুর রহমান শামীমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মেলান্দহ পৌর শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দেশবরেণ্য নাট্যকার আসাদুল্লাহ ফারাজী, মেলান্দহ পৌরসভার সচিব শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাজি দিদার পাশা, মেলান্দহ পৌর শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান হেলাল প্রমুখ।

বইটি প্রকাশনায় সহযোগিতা করায় মেলান্দহ পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ সফিক জাহেদী রবিন ও পৌর সচিব শরিফুল ইসলাম ভূইয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বইটির লেখক স্বভাবকবি আব্দুল গণি কুঁড়ে। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনিও সঙ্গীত পরিবেশন করেন। কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার ও নাট্যকর্মী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ বইটির প্রকাশনা উৎসব উপভোগ করেন।

প্রসঙ্গত, মাতৃকানন বইটির লেখক আব্দুল গনি কুঁড়ে ১৯৫৪ সালের ৩০ নভেম্বর কুড়িগ্রাম জেলা সদরের হিংগনরায় (গোরস্থানপাড়া) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করলেও স্বভাবকবি, গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী হিসেবে কুড়িগ্রামে তার বেশ পরিচিতি ও সুনাম রয়েছে। তার লেখা কাব্যগীতি ‘মাতৃকানন’ বইটি এ বছর একুশে বই মেলায় প্রকাশ করেছে জাগৃতি প্রকাশনী। লেখকের কোনো আত্মীয়স্বজন নন, কিন্তু হঠাৎ পরিচয় এবং তার কবিতা ও গান শুনে মুগ্ধ হয়ে বইটি প্রকাশনার যাবতীয় খরচ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন মেলান্দহ পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ সফিক জাহেদী রবিন।