ঢাকা ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

শিশু ধর্ষণ মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

জামালপুর : জেলা ও দায়রা জজ আলাদত। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরে শিশু ধর্ষণ মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও অর্থদন্ড দিয়েছেন আদালত। ১০ সেপ্টেম্বের, বুধবার দুপুরে জামালপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মো. ফজলুল হক এ প্রতিবেদককে বলেন, ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ী এলাকায় ১১ বছর বয়সী কন্যাশিশু তার নিজ বাড়ি থেকে নানাবাড়িতে খাবার নিয়ে যাচ্ছিল।

এ সময় একই এলাকার জামাত আলীর ছেলে গোলাম মোস্তফার সহযোগিতায় আজমেশ আলীর ছেলে আইজুর হোসেন ওই শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনার চারদিন পর নির্যাতনের শিকার শিশুর চাচা লালু সেখ বাদী হয়ে ওই দু’জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

২০০৪ সালের ১৩ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। মামলায় সাতজন সাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ ও দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে বিশ বছর পর আজ রায় ঘোষণা করে আদালত। রায়ে অভিযুক্ত আসামি আইজুর হোসেন ও গোলাম মোস্তফাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, আইজুর হোসেনকে এক লাখ ও গোলাম মোস্তফাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়। মামলাটির আসামিরা পলাতক রয়েছেন। জরিমানার অর্থ ভুক্তভোগীকে দেওয়ারআদেশও দেন বিচারক।

বাদী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পিপি আইনজীবী মো. ফজলুল হক। আসামি পক্ষে কোন আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

জনপ্রিয় সংবাদ

গরুচুরির অপবাদে ট্রাকচালককে পিটিয়ে হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

শিশু ধর্ষণ মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

আপডেট সময় ০৯:৫১:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জামালপুরে শিশু ধর্ষণ মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও অর্থদন্ড দিয়েছেন আদালত। ১০ সেপ্টেম্বের, বুধবার দুপুরে জামালপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মো. ফজলুল হক এ প্রতিবেদককে বলেন, ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ী এলাকায় ১১ বছর বয়সী কন্যাশিশু তার নিজ বাড়ি থেকে নানাবাড়িতে খাবার নিয়ে যাচ্ছিল।

এ সময় একই এলাকার জামাত আলীর ছেলে গোলাম মোস্তফার সহযোগিতায় আজমেশ আলীর ছেলে আইজুর হোসেন ওই শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনার চারদিন পর নির্যাতনের শিকার শিশুর চাচা লালু সেখ বাদী হয়ে ওই দু’জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

২০০৪ সালের ১৩ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। মামলায় সাতজন সাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ ও দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে বিশ বছর পর আজ রায় ঘোষণা করে আদালত। রায়ে অভিযুক্ত আসামি আইজুর হোসেন ও গোলাম মোস্তফাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, আইজুর হোসেনকে এক লাখ ও গোলাম মোস্তফাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়। মামলাটির আসামিরা পলাতক রয়েছেন। জরিমানার অর্থ ভুক্তভোগীকে দেওয়ারআদেশও দেন বিচারক।

বাদী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পিপি আইনজীবী মো. ফজলুল হক। আসামি পক্ষে কোন আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।