দ্বিতীয় স্ত্রী দিলরুবা ইয়াসমিন রুমার দায়ের করা হত্যা মামলায় তদন্তের স্বার্থে আদালতের আদেশে পল্কলীকণ্ঠ প্রতিদিন পত্রিকার প্রয়াত সম্পাদক ও প্রকাশক নুরুল হক জঙ্গীর মরদেহ উত্তোলন করেছে পুলিশ। ১ সেপ্টেম্বর, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে নাংলা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর নাংলা কাঠপাড়া এলাকার পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এ সময় মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।
নিহত পল্লীকণ্ঠ সম্পাদক ও প্রকাশক নুরুল হক জঙ্গী নাংলা ইউনিয়নের কাঠপাড়া এলাকার প্রয়াত আব্দুল হামিদের ছেলে। তার মৃত্যুর আট মাস ১১ দিন পর এ মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

জানা গেছে, ২০২৪ সালের ২১ ডিসেম্বর, শনিবার রাতে জামালপুর শহরের বানিয়াবাজার এলাকায় দুই ইজিবাইক চাপায় গুরুতর আহত হন সাংবাদিক নূরুল হক জঙ্গি (৭৫)। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পরদিন পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। প্রবীণ এই সাংবাদিকের মৃত্যুর ঘটনায় পারিবারিক কলহ ও রহস্যের সৃষ্টি হলে চলতি বছরের মে মাসের দিকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দিলরুবা ইয়াসমিন রুমা আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় প্রথম স্ত্রী খায়রুন নেছা কাজলী, জামাতা জুলহাস, দুই মেয়ে জেবুন নেছা কাকলী ও জিন্নাতুন নেছা কনা এবং দৈনিক পল্লীকন্ঠ পত্রিকার কম্পিউটার অপারেটর দেলোয়ার হোসেনকে আসামি করা হয়। মামলার তদন্ত দেওয়া হয় পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোকে (পিবিআই)। আদালতের আদেশে ১ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তার মরদেহ উত্তোলন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পিবিআই এর পরিদর্শক মোশারফ হোসেন এ প্রতিবেদককে বলেন, আদালতের আদেশে ময়নাতদন্তের জন্য নুরুল হক জঙ্গীর মরদেহ উত্তলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ আবার আগের জায়গায় পাঠানো হবে।
মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম আলমগীর এ প্রতিবেদককে বলেন, আদালতের নির্দেশে পিবিআই, মেলান্দহ থানার পুলিশ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে প্রয়াত সাংবাদিক নুরুল হক জঙ্গীল মরদেহ উত্তলন করা হয়। ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।