ঢাকা ০২:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাপপ্রয়োগ, ইউপি সদস্যসহ আটক ৩

সরিষাবাড়ী : কিশোরী ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার তিনজন আসামি। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় এক কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বখাটে তিন বন্ধুর বিরুদ্ধে। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে ধর্ষিতার পরিবারকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে সাবেক ইউপি সদস্যসহ তিনজনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। ২৩ জুন, সোমবার বিকালে এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর আটক আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।

আটক আসামিরা হলেন- উপজেলার আওনা ইউনিয়নের কুমারপাড়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস তালুকদারের ছেলে ও সাবেক ইউপি সদস্য লিটন তালুকদার (৫৫), এ ছাড়া অন্যরা হলেন তার দুই সহযোগী একই গ্রামের মো. সুরুজ্জামানের ছেলে মো. সেলিম (২৩) ও তারা মিয়ার ছেলে কবির মিয়া (২৮)।

মামলা ও যৌথবাহিনী সূত্র জানায়, কুমারপাড়া গ্রামের জনৈকা কিশোরীকে একই গ্রামের মৃত দুলালের বখাটে ছেলে মো. শাহিন ১৪ জুন, শনিবার দুপুরে ফুসলিয়ে তার ঘরে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। একইভাবে পরপর চারদিন জোরপূর্বক মেয়েটিকে ধর্ষণ করলে একপর্যায়ে তার বন্ধু মো. পারভেজ জেনে ফেলে। পারভেজ স্থানীয় আলা উদ্দিনের ছেলে। পরে এ ঘটনা সবাইকে বলে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ১৭ জুন, মঙ্গলবার বিকালে ওই মেয়েকে পারভেজও জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

এ বিষয়টিও জেনে ফেলে তাদের অপর বন্ধু একই গ্রামের মো. লাভলু। লাভলু স্থানীয় নাজিম উদ্দিনের ছেলে। ১৯ জুন, বৃহস্পতিবার দুপুরে মেয়েটিকে তার বাড়িতে একা পেয়ে ৬ষ্ঠবারের মত ধর্ষণের চেষ্টা চালায় লাভলু। মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে গেলে সে পালিয়ে যায়।

ধর্ষিতা ওই কিশোরীর মা অভিযোগ করে বলেন, ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় প্রভাবশালীরা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। ২২ জুন, রবিবার রাতে আপস-মীমাংসার কথা বলে লিটন তালুকদারের নেতৃত্বে বৈঠক বসিয়ে ধর্ষণের ঘটনা গোপন রাখতে চাপপ্রয়োগ করা হয়। পরে তারাকান্দি সেনাক্যাম্পে খবর দিলে রাত ১১টার দিকে ক্যাপ্টেন অর্ণব কবির প্রাপনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে যৌথবাহিনী তিনজনকে আটক করে।

এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান এ প্রতিবেদকবে বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে থানায় ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। আটক তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত বাকি তিনজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

গরুচুরির অপবাদে ট্রাকচালককে পিটিয়ে হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাপপ্রয়োগ, ইউপি সদস্যসহ আটক ৩

আপডেট সময় ০৭:০২:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় এক কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বখাটে তিন বন্ধুর বিরুদ্ধে। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে ধর্ষিতার পরিবারকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে সাবেক ইউপি সদস্যসহ তিনজনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। ২৩ জুন, সোমবার বিকালে এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর আটক আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।

আটক আসামিরা হলেন- উপজেলার আওনা ইউনিয়নের কুমারপাড়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস তালুকদারের ছেলে ও সাবেক ইউপি সদস্য লিটন তালুকদার (৫৫), এ ছাড়া অন্যরা হলেন তার দুই সহযোগী একই গ্রামের মো. সুরুজ্জামানের ছেলে মো. সেলিম (২৩) ও তারা মিয়ার ছেলে কবির মিয়া (২৮)।

মামলা ও যৌথবাহিনী সূত্র জানায়, কুমারপাড়া গ্রামের জনৈকা কিশোরীকে একই গ্রামের মৃত দুলালের বখাটে ছেলে মো. শাহিন ১৪ জুন, শনিবার দুপুরে ফুসলিয়ে তার ঘরে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। একইভাবে পরপর চারদিন জোরপূর্বক মেয়েটিকে ধর্ষণ করলে একপর্যায়ে তার বন্ধু মো. পারভেজ জেনে ফেলে। পারভেজ স্থানীয় আলা উদ্দিনের ছেলে। পরে এ ঘটনা সবাইকে বলে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ১৭ জুন, মঙ্গলবার বিকালে ওই মেয়েকে পারভেজও জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

এ বিষয়টিও জেনে ফেলে তাদের অপর বন্ধু একই গ্রামের মো. লাভলু। লাভলু স্থানীয় নাজিম উদ্দিনের ছেলে। ১৯ জুন, বৃহস্পতিবার দুপুরে মেয়েটিকে তার বাড়িতে একা পেয়ে ৬ষ্ঠবারের মত ধর্ষণের চেষ্টা চালায় লাভলু। মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে গেলে সে পালিয়ে যায়।

ধর্ষিতা ওই কিশোরীর মা অভিযোগ করে বলেন, ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় প্রভাবশালীরা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। ২২ জুন, রবিবার রাতে আপস-মীমাংসার কথা বলে লিটন তালুকদারের নেতৃত্বে বৈঠক বসিয়ে ধর্ষণের ঘটনা গোপন রাখতে চাপপ্রয়োগ করা হয়। পরে তারাকান্দি সেনাক্যাম্পে খবর দিলে রাত ১১টার দিকে ক্যাপ্টেন অর্ণব কবির প্রাপনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে যৌথবাহিনী তিনজনকে আটক করে।

এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান এ প্রতিবেদকবে বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে থানায় ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। আটক তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত বাকি তিনজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।