সুবিধাবঞ্চিত প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর স্বার্থ সংরক্ষণ, ক্ষমতায়ন এবং মর্যদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দু’দিনব্যাপী প্রতিবন্ধী অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। ২৮ মে, বুধবার উন্নয়ন সংঘে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ডিটিআরসি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। জেন্ডার ইনক্লুসিভ মার্কেট সিস্টেমস ফর ইম্প্রুভড নিউট্রিশন (GESMIN) জেসমিন প্রকল্পের উন্নয়নকর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ভিশন অস্ট্রেলিয়ার প্রতিবন্ধী ও শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা ভিক্টরিয়া মিডেলৌরি এবং সহযোগী প্রশিক্ষক ছিলেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ জেসমিন প্রকল্পের জেন্ডার স্পেশালিস্ট মং ওয়াই চিং মারমা।

প্রশিক্ষণে প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিকরণ (Disability Inclusion) কী এবং এর গুরুত্ব, প্রতিবন্ধিতার তিনটি মডেলের ব্যাখ্যা, প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কে প্রচলিত ভুল ধারণা (Myths About Disability), প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা যে বৈষম্যের শিকার হন তা উন্মোচন ও তা মোকাবিলায় করণীয় বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রকল্পের কর্মরত উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন ও উন্নয়ন সংঘের সকল কর্মীরা এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনী মিলড্রেড ডি: ক্রুশ, স্পন্সরশিপ এডুকেশন চাইল্ড প্রটেকশন ফিল্ড কো-অরডিনেটর রিচার্ড অজয় সরকার, কো-অর্ডিনেটর – অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি মো. তানজিমুল ইসলাম, ফিল্ড পিপল অ্যান্ড কালচার স্পেশালিস্ট ক্যারোলিনা শৈব্যা তজু, উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লা, মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, পরিচালক কর্মসূচি মোর্শেদ ইকবাল ও প্রকল্পের সকল কর্মীগণ।

প্রশিক্ষণ শেষে জেসমিন প্রকল্পে প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিকরণ নিয়ে একটি অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা হয়। এই প্ল্যানটি পরবর্তীতে নিয়মিত ফলোআপের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।
উল্লেখ্য, জেসমিন প্রকল্প ২০২৩ সাল থেকে জামালপুর জেলার মেলান্দহ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও জামালপুর সদর উপজেলা, এই চারটি উপজেলায় কাজ করছে। এটি মূলত অস্ট্রেলিয়ান সরকারের সহায়তায় অস্ট্রেলিয়ান এনজিও কো-অপারেশন প্রোগ্রামের (ANCP) মাধ্যমে বাস্তবায়িত এনএসভিসি প্রকল্পের (২০১৮-২০২৩) বর্ধিত অংশ।