চলমান মানবাধিকার পরস্থিতি নিয়ে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সাল মো. আতিক বলেছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতি বিবেচনায় সামাজিক অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পেলেও এখন নিয়ন্ত্রণে। কমিউনিটির সহযোগিতায় পুলিশ অধিক তৎপর হয়েছে। মানুষের লোভ বেড়ে গেলে এবং সমাজে ভিতি সঞ্চার হলে স্বাভাবিকভাবেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
তিনি ১৬ এপ্রিল বুধবার জামালপুর হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার নেটওয়ার্কের উদ্যোগে উন্নয়ন সংঘে এক অ্যাডভোকেসি সভা উদ্বোধকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ভয়মুক্ত সমাজ গঠনে মানবাধিকার কর্মী থেকে শুরু করে সকল শ্রেণি, পেশার মানুষকে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে।

জেলা পর্যায়ে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) ও উন্নয়ন সংঘের (ইউএস) সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত অ্যাডভোকেসি সভায় সভাপতিত্ব করেন হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর সেলিম। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লা। সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন এমএসএফ এর সমন্বয়কারী টিপু সুলতান।
জেলায় মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক কামরুন্নাহার, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রবেশন কর্মকর্তা ফারুক মিয়া, মানবাধিকার কর্মী মিলি, নজরুল, মাসুদ, ফরহাদ, সুপ্রিয়া প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন নেটওয়ার্কের সদস্য সচিব আরজু আহম্মেদ।
সভায় অর্ধশতাধিক মানবাধিকার কর্মী বা ডিফেন্ডারগণ অংশ নেন। মধ্যাহ্নভোজের পর মানবাধিকার বাস্তবায়ন কৌশল সংক্রান্ত একটি প্রশিক্ষণ কোর্স অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ সকল প্রকার সহিংসতার বিরুদ্ধে গণজাগরণ তৈরি করা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনমুক্ত শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে মানবাধিকার সুরক্ষায় জামালপুরে ডিএইচআরএনএস প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর সাচিবিক দায়িত্ব পালন করছে উন্নয়ন সংঘ।
আলোচনায় জানা যায়, গত তিন মাসে জামালপুরে ১৫ ধর্ষণ, ১১ খুন, ৫২ নারী, শিশু নির্যাতনসহ ছয় শতাধিক অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। এসব অপরাধের বিপরীতে জামালপুরে হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার নেটওয়ার্ক প্রতিবাদ সমাবেশ, স্মারকলিপি প্রদান, কমিউনিটি সভা, সালিশ, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তি ও পরিবারকে আইনি সহায়তা, স্বাস্থসেবা প্রদান, পুনর্বাসনের কাজ বাস্তবায়ন করেছে বলে নেটওয়ার্ক সূত্র জানায়।