অল্প পুঁজি নিয়েও জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম : শান্ত

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক:

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে ছোট পুঁজি পেলেও বোলারদের প্রতি আস্থা থাকায় জয়ের ব্যাপারে চিন্তিত ছিলেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

প্রথমে ব্যাট করে ১৯ দশমিক ৩ ওভারে মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর ১৯ দশমিক ২ ওভারে মাত্র ৮৫ রানে নেপালকে অলআউট করে দিয়ে শান্তর আস্থার প্রতিদান দেন বাংলাদেশের বোলাররা। দলের বোলারদের দারুন পারফরমেন্সে সুপার এইটের টিকিট পায় টাইগাররা।

১০৭ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে নেপাল ২৬ রানে ৫ উইকেট হারালে সহজ জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ। তবে ষষ্ঠ উইকেটে কুশল মাল্লা এবং দীপেন্দ্র সিং আইরি ৫২ রানের জুটি গড়লে ম্যাচ নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায় টাইগাররা। কিন্তু মাত্র ৭ রানে নেপালের শেষ পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে ২১ রানের জয় এনে দেয় দলের বোলাররা।

এ ম্যাচেও বোলাররা সেরা পারফরমেন্স অব্যাহত রেখেছে তবে ব্যাটিং ব্যর্থতা এখনও বাংলাদেশকে চিন্তায় রাখছে।
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক শান্ত বলেন, ‘এ পর্বে যেভাবে খেলেছি, তাতে খুশি। আশা করি আমাদের বোলিং পারফরমেন্স ধরে রাখতে পারবো এবং পরের পর্বে আমাদের ব্যাটিং পারফরমেন্স ভালো হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা খুব বেশি রান করছি না। কিন্তু আমরা জানি যদি দ্রুত উইকেট নিতে পারি, তাহলে রান ডিফেন্ড করতে পারবো। আমরা বোলারদের সেটাই বলেছি এবং মাঠে তারা খুব ভালো করেছে।’

সুপার এইটেও পারফরমেন্সের ধারা বাংলাদেশ অব্যাহত রাখবে বলে আত্মবিশ্বাসী শান্ত। তিনি বলেন, ‘আমাদের সবই আছে। গত দুই-তিন বছরে কঠোর পরিশ্রম করেছে পেসাররা। এই ফরম্যাটে বোলিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি তারা ফর্ম ধরে রাখবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে মোমেন্টাম সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। পরের রাউন্ডের জন্য আমাদের পরিকল্পনা করতে হবে এবং পরিকল্পনাগুলো কাজে লাাগতে হবে।’

দলের ব্যাটারদের ব্যাটিং পারফরমেন্সে হতাশ নেপাল অধিনায়ক রোহিত পাউডেল। বোলারদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘বোলিং ইউনিট হিসেবে আমরা সত্যিই ভালো বল করেছি। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা আরও ভালো করতে পারতাম, বিশেষ করে টপ অর্ডার ব্যাটাররা। আরও দায়িত্ব নিয়ে আমরা ব্যাটিং করতে পারতাম। নতুন বলে বাংলাদেশ সত্যিই ভালো বোলিং করায় আমরা চাপে পড়েছিলাম।’

৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হওয়া বাংলাদেশী পেসার তানজিম হাসান সাকিব বলেন , সাফল্য পেতে শান্ত থাকার চেষ্টা করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা শুধুমাত্র বিষয়গুলো সহজ রাখতে চেয়েছিলাম। আমরা ভালো জায়গায় বল করতে চেয়েছিলাম এবং চিন্তিত হতে চাইনি। আমরা জানতাম, এই পুঁজি ডিফেন্ড করতে পারবো।’

তানজিম আরও বলেন, ‘সবাই ভালো বোলিং করেছে। বোলার হিসেবে আমরা ভালো বোলিং করেছি। এজন্যই আমরা এই স্কোর ডিফেন্ড করেছি। আমি শুধুমাত্র আক্রমনাত্মক থেকে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে চাই। সুপার এইট নিয়ে আমরা সত্যিই রোমাঞ্চিত। আমরা পরের রাউন্ড নিয়ে খুবই আত্মবিশ্বাসী এবং আশা করি আমরা ভাল করতে পারবো।’সূত্র:বাসস।