টয়লেটের সেফটি ট্যাংক থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার, দুই বন্ধু আটক

উজ্জ্বল মিয়া

সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে নিখোঁজের পাঁচদিন পর টয়লেটের সেফটি ট্যাংক থেকে উজ্জ্বল মিয়া (১৫) নামে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উজ্জ্বল উপজেলার শেখ খলিলুর রহমান ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

৩১ মার্চ বিকালে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের চর বালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহজনকভাবে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

যাদের আটক করা হয়েছে তারা হলো- বালিয়া গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে আবু সাঈদ ও প্রবাসী শহিদুল ইসলামের ছেলে সাদ্দাম হোসেন। তারা দুজনই নিহত উজ্জ্বল মিয়ার বন্ধু।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের চর বালিয়া গ্রামের উসর আলীর ছেলে উজ্জ্বল মিয়া। সে গত ২৭ মার্চ সন্ধায় ইফতারের পর মোবাইলে ফোন পেয়ে বাহিরে চলে যায়। রাতে বাড়িতে না ফিরলে পরিবারের লোকজন আশেপাশে খুঁজতে থাকে। না পেয়ে পরের দিন থানায় অভিযোগ করেন তার বাবা। ৩১ মার্চ দুপুরে বাড়ির পাশে আপেল মিয়ার পরিত্যক্ত টয়লেটের সেফটি ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। পরে প্রতিবেশীরা টয়লেটের হাউজ খুলে উজ্জ্বলের মরদেহ দেখতে পায়। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের বাবা উসর আলী অভিযোগ করে বলেন, ছেলে উজ্জ্বলকে বাড়ি থেকে ডেকে হত্যা করে টয়লেটের হাউজে রেখে দেয়। এ ঘটনায় বিচার দাবি করেন তিনি।

জামালপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহরাব হোসাইন বলেন, গত ২৭ মার্চ আমাদের কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছিল একটি ছেলে নিখোঁজ হয়েছে। পরে আমরা তার অভিযোগ গ্রহণ করি এবং রাত্রি বেলা একটি ইমো নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে টাকা দাবি করে। পরে সেই নাম্বারটা আমলে উদ্ধারের চেষ্টা করি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর নাম্বারটি বন্ধ হয়ে যায়। তারপর বিভিন্নভাবে তদন্তের চেষ্টা চলছিল। আজ হঠাৎ করে তার লাশ একটি টয়লেটের পরিত্যক্ত সেফটি ট্যাংকে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।