বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত

বক্তব্য রাখেন বশেফমুবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেফমুবিপ্রবি) ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে সকাল ১১টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দিনের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

পরে উপাচার্যের নেতৃত্বে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব—এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, মির্জা আজম হল, নূরুন্নাহার বেগম হল, বঙ্গবন্ধু পরিষদ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী পরিষদ, ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বিশ্ববিদ্যালয় শাখাসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষেও পর্যায়ক্রমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় উপাচার্য ড. মো. কামরুল আলম খান বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পেরিয়ে আজ ৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় উদ্যাপন করছে। এই দীর্ঘ সময়ে বাংলাদেশ নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে।

‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচালিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় রূপান্তরিত হোক— আজকের দিনে এটাই আমাদের সকলের প্রত্যাশা।’

এক্ষেত্রে সবাইকে নিজ নিজ জায়গায় সর্বোচ্চ কাজটি করে যাওয়ার আহ্বান জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান।

আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক মির্জা আজম হলের ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট পার্থ সারথি দাশের সভাপতিত্বে সভায় রেজিস্ট্রার সৈয়দ ফারুক হোসেন ও প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) এস.এম. ইউসুফ আলী বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।

আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব সহকারী রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ মো. আনিসুজ্জামানের সঞ্চালনায় সভায় ফিশারিজ বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ রফিকুল বারী, নূরুন্নাহার বেগম হলের ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট ড. মৌসুমী আক্তার, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাব্বির হোসেন, কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মো. আব্দুল মান্নান, ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কাওসার আহমেদ স্বাধীন, যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. মোশাররফ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাদ যোহর স্থানীয় মসজিদসহ অন্যান্য প্রার্থনালয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

দিবসের সকল কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, এর আগে ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাতে গণহত্যায় সকল শহীদদের স্মরণে ও তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।