উপসচিবের বিরুদ্ধে নির্বিচারে পাখি নিধনের অভিযোগ

এয়ারগান হাতে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত উপসচিব খালেকুজ্জামান। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে নির্বাচারে চলছে অতিথি পাখি নিধন। শীতের মৌসুমে বাইরের দেশ থেকে বিভিন্ন অতিথি পাখি আসে বাংলাদেশে। আর তাদের নির্বিচারে হত্যার কারণে নিরাপদে বিচরণ করতে পারছে না।

এতে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য, প্রকৃতি হারাচ্ছে তার সৌন্দর্য। পাখি রক্ষায় বন-বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন কার্যকরী ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন শিকারিদের দৌরাত্ম বেড়েই চলছে।

তেমনি একটি চিত্র দেখা গেলো জামালপুরে সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের গোবিন্দনগর এলাকায়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত উপসচিব খালেকুজ্জামান। নির্বিচারে পাখি শিকার করাই যার নেশা। ৩ মার্চ বিকালে প্রকাশ্যে তারাকান্দি-সরিষাবাড়ী প্রধান সড়কে দাঁড়িয়ে ভাতিজা জীম ও তিনি দুইটি এগারগান দিয়ে নির্বিচারে গুলি ছুড়তে দেখা যায় বোরোধান ক্ষেতে বসা অতিথি পাখিদের উপর। এসময় পাখিগুলো তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে উড়ে গিয়ে একটি গাছে বসলে অবসরপ্রাপ্ত উপসচিব খালেকুজামান গুলি করে একটি পাখি হত্যা করে। এর পরে তাঁর সাথে থাকা ভাতিজা জীম ও গাড়ির চালক পাখিটি নিয়ে গাড়ির কাছে এসে ব্যাগে ভরেন। এ সময় গণমাধ্যমকর্মী ও স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে গাড়ি নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান।

অবসরপ্রাপ্ত উপসচিবের ভাতিজা জীম ও তাদের গাড়ির চালক পাখিটি নিয়ে গাড়ির কাছে আসেন।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

পাখি শিকারের প্রত্যক্ষদর্শী স্বপন মাহমুদ, ইসমাইল হোসেন, মিজানুর রহমানসহ আরও অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, চলতি মৌসুমে বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশের এই অঞ্চলে অতিথি পাখি আসে। পাখিগুলো অবাধে বিচরণ করে। এতে পরিবেশ ভারসাম্য বজায় থাকে, এবং সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এভাবে একের পর এক অতিথি পাখি নিধন করলে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকবেনা। নির্বিচারে অতিথি পাথি হত্যার কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তারা।

এ ব্যাপারে উপজেলার দ্বায়িত্বরত বন বিভাগের কর্মকর্তা সরওয়ার জাহান বলেন, এভাবে পাখি শিকার করা অপরাধ। পাখি শিকার যারা করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে দেখছি।