জামালপুরে ভূমি রেজিস্ট্রার অফিসের জালিয়াতির বিরুদ্ধে লিফলেট বিতরণ

জামালপুর জেলার ভূমি রেজিস্ট্রার অফিসে দুর্নীতি ও জালিয়াতির বিরুদ্ধে বিতরণ করা লিফলেট দেওয়া হয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শীতেষ চন্দ্র সরকারকে। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর জেলার ভূমি রেজিস্ট্রার অফিসে জমি সংক্রান্ত নানা দুর্নীতি ও জালিয়াতির প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেছে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, জেলা শাখা ও ভূমি অধিকার আন্দোলন। ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শীতেষ চন্দ্র সরকারকে এই দুর্নীতি ও জালিয়াতির বিষয়টি অবগত করে লিফলেট বিতরণ শুরু করেছে সংগঠন দুটি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি ও জামালপুর অনলাইন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি মানবাধিকারকর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুমন মাহমুদ, কার্যকরী সদস্য আরজু মিয়া, ভূমি অধিকার আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ দেব রাজন, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, সদস্য সজিব চক্রবর্তী প্রমুখ।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে ডিসি মহোদয়ের সাথে কথা বলবো এবং সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো।

জামালপুর জেলার ভূমি রেজিস্ট্রার অফিসে দুর্নীতি ও জালিয়াতির বিরুদ্ধে লিফলেট বিতরণ করা হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

এ বিষয়ে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, আমরা ভূমি অফিসের এই দুর্নীতি ও জালিয়াতির বিরুদ্ধে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে এই আন্দোলন শুরু করলাম। জমির দলিলে সমস্যা, জালিয়াতি, দুর্নীতি আজ সারাদেশে প্রতিটি মানুষের সমস্যা। এটা আজ বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমরা জামালপুর থেকে শুরু করলাম। আশা রাখি দেশের প্রতিটি জেলা এবং উপজেলায় এই আন্দোলন গড়ে উঠবে।

জামালপুর জেলার ভূমি রেজিস্ট্রার অফিসে দুর্নীতি ও জালিয়াতির বিরুদ্ধে লিফলেট বিতরণ করা হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

ভূমি অধিকার আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ দেব রাজন জানান, আমরা লক্ষ্য করেছি সদর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের মহাফেজখানা অথবা রেকর্ড রুমে দলিলের দাতা বা গ্রহিতার নাম পরিবর্তন, জমির পরিমাণ পরিবর্তন, দাগ-খতিয়ান কাঁটাছেড়া ও পরিবর্তন, দলিলের নম্বর ও তারিখ পরিবর্তন, ভলিউমের পাতা কর্তনসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। আমরা যাকেই লিফলেট দিয়েছি সেই ব্যক্তিই বলেছে আমার দলিলে এই রকম সমস্যা রয়েছে।

তিনি আরও জানান, দালাল চক্রের মধ্যমে অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই কাজটি খুব সূক্ষ্মভাবে করে থাকে। এরপর শুরু টাকার ঘুষ-দুর্নীতি ও হয়রানি। সদর সাব-রেজিস্টার অফিস আজ মানুষের জন্য নরকে পরিণত হয়েছে। আমরা জনসচেতনা তৈরির লক্ষ্যে আজ লিফলেট বিতরণের মধ্য দিয়ে আন্দোলন শুরু করলাম। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ সময় জেলা প্রশাসন অফিস, উপজেলা সাব-রেজিস্টার অফিস ও জজ কোর্ট চত্বরে লিফলেট বিতরণ করেন।