ইউটিউবের রেসিপিতে শেরপুরে বাহারি পিঠা উৎসব

পিঠা উৎসবের স্টলে অভিভাবক শিক্ষার্থীরা। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

সুজন সেন
নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর :

ইউটিউবে রেসিপি দেখে শেরপুরে বাহারি রকমের পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮ ডিসেম্বর দুপুরে জেলা শহরের সজবরখিলা এলাকায় শাহীন ক্যাডেট স্কুল মাঠে স্কুলের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সম্বর্ধনা ও বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান উপলক্ষে ওই পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম।

শিক্ষক জয়নাল আবেদীন বলেন, ভোজন প্রিয় বাঙালির শীত মানেই পিঠা খাওয়ার মৌসুম। অগ্রহায়ণের নতুন ধানের চালের পিঠা না খেলে অসম্পূর্ণ থেকে যায় বাঙালিয়ানা। একসময় শহর বা গ্রামের ঘরে ঘরে তৈরি হতো ভাপা, পুলি, চিতই ও তেলের পিঠাসহ বাহারি ও নানা স্বাদের পিঠা। বাড়ি বাড়ি ধূম পড়তো পিঠা খাওয়ার। আধুনিক ইন্টারনেটের যুগে ইউটিউব দেখে বাড়ির মা-বোনেরা নানা রেসিপি তৈরিতে ঝুঁকে পড়েছে। প্রায় দেড় শতাধিক বাহারি রকমের ও স্বাদের পিঠার নয়টি স্টল বসেছিল এখানে। আয়োজকদের স্টলে মুখরিত হয়ে উঠেছিল এ পিঠা উৎসব প্রাঙ্গণ।

অভিভাবক রতন হাসান বলেন, স্কুলের শিক্ষকদের আয়োজনে নয়টি স্টলে দেড় শতাধিক আইটেমের বাহারি রকমের পিঠার পসরা বসে। এ সময় স্কুলের শিক্ষার্থী অভিভাবক এবং শহরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ওই পিঠা উৎসবে এসে পিঠা কিনে খান এবং অনেকেই বাড়ির জন্য নিয়ে যায়। মেলায় এসে শিক্ষার্থীরা পিঠা খেয়ে বেশ আনন্দ উপভোগ করে।

পিঠা উৎসবে বাহারি পিঠা। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

পিঠার স্টল মালিক শরীফ মিয়া ও নিতাই রায় বলেন, অনেক পিঠা প্রেমিরা মেলায় এসে ঘুরে ঘুরে বাহারি সব পিঠা দেখেন এবং তাদের বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে আড্ডায় মেতে উঠেন।

তারা আরও বলেন, এবার পিঠা বেশ ভালোই বিক্রি হয়েছে। এমন আয়োজন প্রতিবছরই করার দাবি তাদের।

স্কুলের শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন ও আহমদ মিয়া জানান, এই স্কুল প্রতি বছরই পিঠা উৎসবে আয়োজন করা হয়। এবার বিগত বছরের চেয়ে সবচেয়ে বেশি সারা মিলেছে এবং আগামী দিনেও এর ধারাবাহিকতা আব্যাহত থাকবে বলে মনে করছেন তারা।

তারা আরও জানান, পিঠা উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ ছিল প্রতিটি স্টল থেকে কমপক্ষে ২০ টাকার পিঠা কিনলে একটি করে কুপন দেওয়া হচ্ছে। প্রথম পুরস্কার হিসাবে থাকছে এলইডি টেলিভিশন।

শাহীন ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম হিমেল বলেন, বিভিন্ন প্রকারের শীতের পিঠাকে তাদের শিক্ষার্থীদের মাঝে পরিচিতি করতে এবং আগামী প্রজন্ম যেন এ পিঠাকে ধরে রাখতে পারে সেজন্য এ আয়োজন।