শাহবাজপুরে নৌকার প্রচার কেন্দ্রে হামলা, আহত ৬

গুরুতর আহত নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

মাহমুদুল হাসান মুক্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর-৫ (সদর) আসনের শাহবাজপুর ইউনিয়নে ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্র ভাংচুর, নৌকার কর্মী ও সমর্থকদের ছুরিকাঘাত করার ঘটনা ঘটেছে। ২৭ ডিসেম্বর বেলা দেড়টার দিকে ইউনিয়নের দক্ষিণ কৈডোলা হক দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নৌকার কর্মী-সমর্থক প্রায় ৬ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর ৪ জনকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

গুরুতর আহতরা হলেন – ইউনিয়নের কসিম উদ্দিনের ছেলে ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউপি সদস্য নিয়ামত আলী (৭০), তার ছেলে যুবলীগনেতা মো. জাকির হোসেন ওরফে ফকির (৪০), বেলাল হোসেনের ছেলে নৌকা প্রার্থীর সমর্থক মাসুদ রানা (২৭) ও মারুফ হোসেন (২২)।

স্থানীয়রা জানায়, ২৭ ডিসেম্বর নৌকার প্রচার মিছিল শেষে হক দাখিল মাদ্রাসা প্রচার কেন্দ্রে যায় নৌকার কর্মী-সমর্থকরা। এসময় ঈগল প্রতীকের কর্মী-সমর্থক সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০/১২ জন নিয়ে নৌকার প্রচার কেন্দ্র ভাংচুর করে। তাদেরকে বাধা দিতে গেলে নৌকার কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এসময় প্রায় ৬ জন আহত হয়। এসময় গুরুতর আহত ৪ জনকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও শাহবাজপুর ইউনিয়নের সমন্বয়কারী টিমের সদস্য হৃদয় আকন্দ চমক জানান, জেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশনায় গত কয়েকদিন যাবত আমরা এই ইউনিয়নের ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছি। ভোট প্রার্থনা করার সময় আমরা ফোন কলের মাধ্যমে জানতে পারি নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের মারধর ও প্রচার কেন্দ্র ভাংচুর করেছে। পরবর্তীতে আমরা আমাদের সাথে থাকা হায়েস নিয়ে গিয়ে দেখি আহতরা মাটিতে পড়ে আছে। পরে তাদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

হামলা প্রসঙ্গে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ এ প্রতিনিধিকে জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। যারা এ হামলা করেছে তাদের বিচার হওয়া দরকার। যাদের হুকুমে হামলা করা হয়েছে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনার দাবিও জানান তিনি।

এ প্রসঙ্গে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনুর বক্তব্য পেতে মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রতিনিধি ইকরামুল হক নবীন জানান, নৌকা প্রতীকের প্রচার কেন্দ্র ভাংচুর করার কারও দুঃসাহস নেই। তারা নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল তৈরি করে ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের উপর দোস চাপিয়ে দিচ্ছে।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর জানান, শাহবাজপুরের ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।