শেরপুরে কলেজ ছাত্র হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সাজু আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর, বাংলারচিঠিডটকম: শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে কলেজ ছাত্র রাজ্জাক (২০) হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাজু আহম্মেদকে (৩০) গ্রেপ্তার করে পুলিশে দিয়েছে র‌্যাব। ৩ সেপ্টেম্বর সকালে গাজীপুর পৌর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১৪।

চাঞ্চল্যকর ওই মামলার রায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে প্রায় ৮ বছর আত্মগোপনে ছিলেন সাজু। গ্রেপ্তার সাজু উপজেলার বুরুঙ্গা পোড়াবাড়ি গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে।

সূত্র জানায়, রাজ্জাক শেরপুর সদর উপজেলার যোগনীমুড়া গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে। ২০১৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজ্জাক ও তার সহপাঠিরা মিলে নালিতাবাড়ীর মধুটিলা ইকোপার্কে বেড়াতে যায়। ওই সময় সাজাপ্রাপ্ত সাজুসহ কয়েকজন ছিনতাইকারি লাল পাহাড় ও ঝর্ণা দেখানোর কথা বলে রাজ্জাক ও তার দুই সহপাঠিকে ডেকে ইকোপার্ক এলাকা থেকে বের করে বুরুঙ্গা কালাপানি লাল পাহাড়ের গহীনে নিয়ে যায়। সেখানে নেওয়ার পর অস্ত্রের মুখে রাজ্জাকের সাথে থাকা মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে চাইলে সে বাধা দেয়। এতে সাজু ক্ষিপ্ত হয়ে রাজ্জাকের বুক ও পেটে ধরালো চাকু দিয়ে আঘাত করে। আঘাতের ফলে রাজ্জাক ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

এসময় ছিনতাইকারির দল রাজ্জাকের অন্য দুই সহপাঠিকে আহত করলে তারা চিৎকার করতে করতে পাহাড় থেকে বেড়িয়ে আসে। এ সুযোগে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।

এদিকে স্থানীয় লোকজন প্রথমে আহত দুইজনকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী হাসপাতালে পাঠায়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে রাতে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রাজ্জাকের লাশ উদ্ধার করে।

র‌্যাবের স্কোয়াড্রন লিডার ও কোম্পানি কমান্ডার আশিক উজ্জামান জানান, এ ঘটনায় নিহতের পিতা সোহরাব আলী বাদী হয়ে ৭-৮ জনকে আসামি করে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৮ সালের ১লা এপ্রিল সাজু আহম্মেদ ওরফে খোকনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। অনাদায়ে আরও ৪ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন আদালত।

আশিক উজ্জামান আরও জানান, রায়ের পর দণ্ডপ্রাপ্ত সাজু ৮ বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থেকে পোশাক শ্রমিকের কাজ করে আসছিল।