যুক্তরাষ্ট্রের মাউই দ্বীপে দাবানল, এখনও নিখোঁজ ৮৫০

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই রাজ্যের মাউই দ্বীপে ভয়াবহতম দাবানলের পর এখনও সন্ধান মেলেনি প্রায় সাড়ে আটশ মানুষের।

প্রাথমিক নিখোঁজের তালিকায় থাকা আরো ১২শ’র বেশি মানুষ নিরাপদে ফিরে এসেছেন বলে ২১ আগস্ট জানিয়েছেন কাউন্টি মেয়র রিচার্ড বিসেন।

তিনি বলেছেন, তবে উভয় সংখ্যাই ওঠানামা করতে পারে। দাবানলে এখন পর্যন্ত ১১৪ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে।

গত ৮ অগাস্ট শতাব্দীর ভয়াবহতম দাবানলে মাত্র কয়েক ঘণ্টায় পুড়ে ছাই হয়েছে গেছে মাউই দ্বীপের ঐতিহ্যবাহী শহর লাহাইনা। আগুনে পুড়ে মারা যাওয়াদের লাশ খুঁজে পেতে সেখানে ধীর গতিতে নির্মম এক তল্লাশি অভিযান চলছে।

বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত শবসন্ধানী ২০টি স্নিফার কুকুর এই অনুসন্ধানে মূল ভূমিকা রাখছে। প্রাণীগুলোই লাশ খুঁজে উদ্ধারকর্মীদের সেখানে নিয়ে যাচ্ছে।

দাবানলের পর প্রথমবারের মত ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্ত্রী ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনকে নিয়ে ২২ আগস্ট তিনি মাউই দ্বীপে যেতে পারেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় মেয়র বিসেন বলেন, “আমাদের জীবন পুরোপুরি পাল্টে গেছে। এখানকার পরিস্থিতি আর কখনোই আগের মত হবে না।

“একটা জিনিসই শুধু আগের মত হতে পারে। তা হলো, আমরা যে শোকের মধ্যদিয়ে যাচ্ছি সেটা একসঙ্গে পার করা এবং একে অপরের প্রতি যত্নশীল হওয়া।”

২১ আগস্ট পর্যন্ত ২৭টি মৃতদেহ সনাক্ত করা গেছে এবং ১১টি পরিবারকে তাদের মৃত স্বজনদের বিষয়ে খবর দেওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।

এখনো ৮৫০ জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরও একে ‘ইতিবাচক খবর’ বলেই বর্ণনা করেন মেয়র বিসেন। বলেন, দাবানলের পরপর নিখোঁজের সংখ্যা দুই হাজারের বেশি ছিল। সে সংখ্যা তো এখন অন্তত হ্রাস পেয়েছে। অনেকে নিরাপদে ফিরে এসেছেন।

মেয়র বিসেন স্থানীয়দের বলেছেন, যাদের স্বজন এখনো নিখোঁজ তারা যেনো দ্রুত এসে ডিএনএ নমুনা দিয়ে যায়।

তবে নমুনা যত দ্রুতই সংগ্রহ করা হোক, সেগুলো খুঁজে পাওয়া লাশের ডিএনএ-র সঙ্গে মিলিয়ে পরিচয় বের করতে কয়েক মাস এমনকী কয়েক বছর লেগে যেতে পারে বলে বিবিসি-কে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।