মাদারগঞ্জে ছাত্রদলনেতার বাবা ও ভাইকে কুপিয়ে গুরুতর আহত, দোকান ভাংচুর

গুরুতর আহত তেজগাঁ কলেজছাত্র রুবেল আহমেদ। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ফাহাদ আহমেদের দোকানে হামলা, ভাংচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ১৭ আগস্ট রাতে উপজেলার জোড়খালি বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন ফাহাদের বাবা মনজুরুল করিম ও ছোটভাই রুবেল আহমেদ। তাদের জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মাদারগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রদলনেতা ফাহাদ আহমেদ। অপরদিকে ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী ওই হামলার ঘটনার সাথে জড়িত ছিল না বলে দাবি করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মাদারগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে ১৭ আগস্ট বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুস্থতা কামনা করে স্থানীয় গুনারিতলা বাজারে লিফলেট বিতরণ ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হয়। এর জের ধরেই ১৭ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে অর্ধশত নেতাকর্মী লাঠিসোটা নিয়ে জোড়খালি বাজারে ছাত্রদলনেতা ফাহাদ আহমেদের জ্বালানিতেলের দোকান মেসার্স ফাহাদ ট্র্রেডার্সে হামলা চালায়। এ সময় ফাহাদ দোকানে ছিলেন না। হামলাকারীরা ফাহাদের বাবা মনজুরুল করিমের বাম হাতে এবং ছোটভাই তেজগাঁ কলেজছাত্র রুবেল আহমেদের মাথায় কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। তাদেরকে ১৭ আগস্ট রাতেই জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী ছাত্রদলনেতা ফাহাদ আহমেদ অভিযোগ করে বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, হামলাকারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমার বাবা ও ভাইকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার পাশাপাশি দোকানের ডিজিটাল সাইনবোর্ড, মবিলের ক্যান ও চেয়ার-টেবিল ভাংচুর এবং নগদ তিন লাখ টাকা ও অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। মাথায় কোপের আঘাতে মারাত্মক জখম নিয়ে আমার ভাই রুবেল আহমেদের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। রুবেল তেজগাঁ কলেজ থেকে বায়োকেমিস্ট্রি বিষয়ে চলতি বছর মাস্টার্স পাস করেছেন। আমি হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করবেন বলে জানান ফাহাদ।

হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে মাদারগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন হাসান বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ১৭ আগস্ট সন্ধ্যায় জোড়খালিতে আমাদের নির্বাচন কেন্দ্র কমিটির সভা ছিল। আমরা জোড়খালিতেই ছিলাম। কিন্তু আমাদের সভাস্থল থেকে আধা কিলোমিটার দূরে বিএনপির দুটি গ্রুপের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে ছাত্রদলনেতা ফাহাদের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। ওই হামলার ঘটনার সাথে আমি বা ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মী জড়িত ছিল না।