শেরপুর শহরে যানজট কমবে : হুইপ আতিক

বাস টার্মিনাল উদ্বোধনের পর মোনজাতে অংশ নেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর, বাংলারচিঠিডটকম: শেরপুর পৌরসভা আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল উদ্বোধন করা হয়েছে। ১৫ জুলাই জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শহরের অষ্টমীতলা এলাকায় ওই বাস টার্মিনালের উদ্বোধন করেন।

ওইসময় তিনি বলেন, এ টার্মিনাল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শহরের যানজট কমে যাবে। মূল শহরের বাইরে নবনির্মিত বাইপাস সড়ক দিয়ে দূরপাল্লার বাস-কোচ যাতায়াত করবে।

পৌরসভার মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বাস-কোচ মালিক সমিতির সভাপতি ছানুয়ার হোসেন ছানু ও সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার আইনজীবী মোখলেছুর রহমান আকন্দ।

ওইসময় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দসহ জনপ্রতিনিধি, জেলা বাস-কোচ মালিক সমিতি, শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র জানায়, ২০০৫ সালে শেরপুর পৌরসভা আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণের জন্য শহরের অষ্টমীতলা এলাকায় তিন একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে পৌর বাস টার্মিনালের অবকাঠামো নির্মাণকাজ শুরু হয়। টার্মিনালটির ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মরহুম সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। পরবর্তীতে ইউজিআইআইপি-৩ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৯ সালে আধুনিক মানের টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

২০২১ সালের শেষের দিকে টার্মিনালের পুরো কাজ শেষ হলেও বাইপাস সড়ক না থাকায় এখান থেকে বাস-কোচ চলাচল শুরু করা যায়নি।

পরবর্তীতে অষ্টমীতলা-কানাশাখোলা বাইপাস সড়ক নির্মাণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। জমি অধিগ্রহণসহ সড়কটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। এ টার্মিনাল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দূরপাল্লার বাস চলাচলের সুবিধার্থে ১৫ জুলাই এ টার্মিনাল উদ্বোধন করা হলো। এতে জেলা শহর দিয়ে বাস-কোচ চলাচল করায় শহরে যে যানজট সৃষ্টি হতো, তা কমে যাবে।

পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন বলেন, এ পৌর টার্মিনাল ভবনের মধ্যে বিভিন্ন রুটের গাড়ির আলাদা কাউন্টার, যাত্রীদের বসার স্থান, শৌচাগারসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে। আপাতত ঢাকা ছাড়া দূরপাল্লার যেসব বাস রয়েছে, সেগুলো এই টার্মিনাল থেকে যাতায়াত করবে। পর্যায়ক্রমে অন্যত্র থেকে চলাচলকারী বাসগুলোও এখানে চলে আসবে।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু নবীনগর বাস টার্মিনালটি ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির উপর, তাই আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যেই ওই টার্মিনালের বাসগুলো এখানে চলে আসবে।