ইসলামপুরে যুবলীগের কমিটিতে চমকের অপেক্ষায় কর্মীরা

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: দীর্ঘ ৭ বছর পর হতে যাচ্ছে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে চলছে নানা আয়োজন। ৮ জুলাই ইসলামপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

সম্মেলনে ৯ জন সভাপতি এবং ৮ জন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর ব্যানার-পোস্টার ও তোরণে ছেঁয়ে গেছে শহরের অলিগলি। প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা ও শুডাউনে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ।

সর্বশেষ ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা যুবলীগের সম্মেলনে সাবেক ভিপি সাইফুল ইসলাম বাবুকে সভাপতি ও আক্রামুজ্জামান হিরুকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন কমিটির অনেক নেতা-কর্মী। ত্যাগী, পরীক্ষিত ও পরিচ্ছন্ন ইমেজের নেতৃত্ব চাইছেন কর্মীরা। নেতৃত্বে আসার প্রতিযোগিতায় আছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা।

উপজেলা যুবলীগ সূত্রে জানা যায়, সম্মেলন বাস্তবায়ন করতে মঞ্চ ও সাজ-সজ্জা উপ-কমিটি, প্রচার উপ-কমিটি, শৃঙ্খলা উপ-কমিটিসহ কয়েকটি কমিটি স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করেছে। সম্মেলনে উপজেলা পর্যায়ে বর্ধিত সভা হয়েছে। সম্মেলনে ২৮১ জন কাউন্সিলর অংশগ্রহণ করবেন। কয়েক হাজার নেতা-কর্মী উপস্থিত হবেন। এরই মধ্যে পদ-প্রত্যাশীরা জীবন বৃত্তান্ত পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে। দীর্ঘদিন পর সম্মেলন হওয়ায় চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে চলছে শীতল লড়াই। তারা জেলা থেকে কেন্দ্র সব জায়গাই করেছেন লবিং ও দেখা সাক্ষাৎ। ছুটেছেন সংগঠনের নীতি নির্ধারকদের দ্বারে দ্বারে।

তবে নতুন চমকের অপেক্ষা করছেন তৃণমূলের কর্মীরা। জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।

উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাবু জানান, ইতিমধ্য সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্নের পথে। আমরা সুন্দর সু-শৃঙ্খল একটি সম্মেলন উপহার দিতে চাই।

সম্মেলনে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলালসহ কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতৃবৃন্দের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।