মেলান্দহে মাদরাসার শিক্ষক কর্তৃক শিশু ছাত্রী ধর্ষণের শিকার, শিক্ষক পলাতক

 

মুত্তাছিম বিল্লাহ, মেলান্দহ প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় আট বছর বয়সী এক মাদরাসাছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ১০ মে বিকেলে উপজেলার কোনামালঞ্চ কুরআন ও সুন্নাহ নূরানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম মো. শরিফুল তার থাকার ঘরে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন বলে শিশুটির পরিবার অভিযোগ করেছেন। ধর্ষণের শিকার ওই শিশুটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে ওই শিক্ষক পলাতক রয়েছেন।

শিশুটির পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ধর্ষণের শিকার শিশুটি প্রতিদিনের মতো ১০ মে বিকেল ৪টার দিকে তাদের বাড়ির কাছেই কোনামালঞ্চ কুরআন ও সুন্নাহ নূরানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসায় পড়তে যায়। ওই মাদরাসার শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম মো. শরিফুল শিশুটিকে ফুসলিয়ে তার থাকার ঘরে ডেকে নিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে মেয়েটি চিৎকার দিলে পরিবার ও স্থানীয়রা রক্তাক্ত ও গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিবার। সেখানে তাকে দুই ব্যাগ রক্ত দেওয়ার পরেও অবস্থার অবনতি হলে ১০ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অভিযুক্ত শিক্ষক মো. শরিফুল মেলান্দহ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের কাজাইকাটা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে। এ ঘটনার পর থেকে তিনি ওই গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন।

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, মাদরাসার শিশুছাত্রী ধর্ষণের শিকার হওয়ার খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ধর্ষণকারী ওই শিক্ষক শরিফুল পলাতক রয়েছেন। ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে প্রথমে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থা শঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাতেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্বজনরা। এ ব্যাপারে শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন থাকার পাশাপাশি অভিযুক্ত শিক্ষক শরিফুলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।