খাতেমুন মঈন মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবু নেওয়াজ মো. রশিদুজ্জামান আর নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরের বকশীগঞ্জের খাতেমুন মঈন মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবু নেওয়াজ মো. রশিদুজ্জামান (৭৫) রোববার (৩১ জুলাই) ভোর ৫.৫০ মিনিটে ঢাকাস্থ বসুন্ধরায় নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি তাঁর স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অনেক আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান।

রোববার বাদ মাগরিব খাতেমুন মঈন মহিলা ডিগ্রি কলেজ মাঠে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে নিজ পারিবারিক কবরস্থানে তার বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে। এর আগে ঢাকায় বসুন্ধরায় প্রথম নামাজে যানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে জামালপুরের বকশীগঞ্জে যার সুনাম ও সুখ্যাতি রয়েছে তিনি হলেন মরহুম মঈন উদ্দিন। জীবনের দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর শিক্ষকতা পেশায় থেকে অত্রাঞ্চলে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় তাঁর সুযোগ্য পুত্র অত্র এলাকায় হতদরিদ্র জনগোষ্ঠরি মাঝে নারী শিক্ষার আলো পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে পাখিমারা গ্রামে নিজ খরচে প্রতিষ্ঠিত করেন তার ‘বাবা-মা’ র নামে খাতেমুন মঈন মহিলা ডিগ্রি কলেজ। তিনি ওই কলেজের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতেই কলেজ প্রতিষ্ঠালগ্নে অনারারি অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার প্রসারিত হাত শুধু এলাকাতেই সীমাবদ্ধ রাখেননি।

অধ্যাপক আবু নেওয়াজ মো. রশিদুজ্জামান ঢাকা শহরেও অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও স্থপতি। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন দায়িত্ববান ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি জনহীতকর কর্মকান্ডে সকলের ভূয়সী প্রশংসা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন।

তিনি ১৯৪৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারিতে একজন রত্বগর্ভা মা মরহুম খাতেমুন নেছা খাতুন এর গর্ভ থেকে জন্ম গ্রহন করেন। ৪ ভাই এবং ১ বোন এর মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।

পদার্থ বিজ্ঞানের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে ১৯৭০ সালে গৌরীপুর কলেজে যোগদেন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাও। দীর্ঘ সময় বিদেশের মাটিতে অবস্থান করেন এবং নাইজেরিয়ার তিনটি প্রতিষ্ঠানে পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এ ছাড়াও তিনি একজন লেখক। আবু নেওয়াজ মো. রশিদুজ্জামানের প্রকাশিত গ্রন্থ ‘প্রেয়সী বাংলা’ ‘রুপসি বাংলা’ এবং বাংলা আমার জীবন ১ম খন্ড।