বকশীগঞ্জে বাল্যবিয়ের চেষ্টায় বর ও কনের বাবাকে জরিমানা

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে আকাশী আক্তার (১৩) নামে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী। সে বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সূর্যনগর গ্রামের চানতারা মিয়ার মেয়ে। ২০ ডিসেম্বর রাত ৯টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ. স. ম. জামশেদ খোন্দকার এই বিয়ে বন্ধ করে কনের বাবাকে পাঁচ হাজার টাকা এবং বরের বাবাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।

জানা গেছে, সূর্যনগর গ্রামের চানতারা মিয়ার অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে আকাশী আক্তারের (১৩) সাথে মেরুরচর ইউনিয়নের খেওয়ারচর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে সুজন মিয়ার (১৯) এর বিয়ে ঠিক হয়। ২০ ডিসেম্বর রাতে মেয়ের বাড়িতে বিয়ের সকল আয়োজন সম্পন্ন করা হয়।

খবর পেয়ে বিয়ে বাড়িতে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ. স. ম. জামশেদ খোন্দকার। তিনি এ সময় বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের সুপারভাইজার সুশান্ত কুমার চক্রবর্তীকে সঙ্গে নিয়ে তাৎক্ষণিক বাল্যবিয়েটি বন্ধ করে দেন।

বাল্যবিয়ের আয়োজন করায় মেয়ের বাবা চান তারা মিয়াকে পাঁচ হাজার টাকা ও ছেলের বাবা রফিকুল ইসলামকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ইউএনও আ. স. ম. জামশেদ খোন্দকার।

বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ. স. ম. জামশেদ খোন্দকার বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, গত ১ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ বিভাগকে বাল্যবিয়ে মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তাই আমার বকশীগঞ্জ উপজেলায় বাল্যবিয়ের কোন সুযোগ নেই। যেখানেই বাল্যবিয়ে হবে সেখানেই প্রতিরোধ করা হবে। শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।