বকশীগঞ্জে বিদ্যালয় ভবন নির্মাণে অনিয়ম, কাজ বন্ধ

নির্মাণাধীন সাধুরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠায় নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী। একই সঙ্গে তিনি পিলারগুলো ভেঙে নতুন করে নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন। উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের সাধুরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনের নির্মাণ কাজে এই অনিয়ম ধরা পড়ে।

জানা গেছে, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের আওতায় উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর তত্ত্বাবধানে সাধুরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুইতলা ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে জে বি এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৮৯ লাখ ৫৯ হাজার ২৬৬ টাকা ব্যয়ে এই বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ করছেন। ইতিমধ্যে প্রথমতলা ভবন নির্মাণ শেষ করা হয়েছে। সম্প্রতি দ্বিতীয়তলা নির্মাণ কাজ শুরু করে জে বি এন্টারপ্রাইজ। কিন্তু দুইতলা ভবন নির্মাণ কাজের শুরুতেই নিয়ম না মেনে ভবন নির্মাণ শুরু করা হয়। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে এলে এলজিইডি এর উপজেলা প্রকৌশলীকে জানালে ৪ নভেম্বর দুপুরে উপজেলা প্রকৌশলী এস এম শহিদুল ইসলাম অনিয়মের অভিযোগে ওই বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। একই সঙ্গে নির্মিত পিলারগুলো ভেঙে ঠিকাদারকে নতুন করে দুইতলা পিলার ও ভবন নির্মাণ করতে নির্দেশ দেন।

স্থানীয়রা জানান, নিম্নমানের ইট, বালু, সিমেন্ট ও রড ব্যবহার করে প্রথমতলা নির্মাণ করা হয়েছে। যতক্ষণ উপ-সহকারী প্রকৌশলী কাজের তদারকি করেন ততক্ষণই ভাল কাজ করেন নির্মাণ শ্রমিকরা। তিনি চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা নির্মাণ শ্রমিকদের ইচ্ছামত ব্যবহার করেন। নিয়ম না মেনে পছন্দ মত ইট, বালু, রড, খোয়া, সিমেন্ট ব্যবহার করে কাজ করেছেন। এতে করে ভবন নির্মাণ টেকসই না হয়ে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। ফলে সরকারের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে গড়িমসি হচ্ছে বলে মনে করেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকরা।

চলতি বছরের আগস্ট মাসে এই ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার কথা থাকলেও ঠিকাদারের স্বেচ্ছাচারিতা ও কাজের ধীর গতির কারণে তা শেষ করা সম্ভব হয় নি।

সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু জানান, আমি নিজেও তাদেরকে ভাল করে কাজ করার পরামর্শ দিলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তা আমলে নেননি। অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকায় তিনি দুর্নীতিবাজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

বকশীগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর উপজেলা প্রকৌশলী এস এম শহিদুল ইসলাম বলেন, অনিয়মের খবর পেয়েই তাৎক্ষণিকভাবে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়েছে।