স্কুলছাত্রী রিশা হত্যা মামলার একমাত্র আসামী ওবায়দুলের মৃত্যুদন্ড

ওবায়দুল হক

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক: রাজধানীর কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশা হত্যা মামলার একমাত্র আসামি ওবায়দুল হককে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ ১০ অক্টোবর এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় ওবায়দুলকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করে আদেশ দেয়।

২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের সামনে ফুট ওভারব্রিজে রক্তাক্ত অবস্থায় রিশাকে পাওয়া যায়। স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর ২৮ আগস্ট সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিশার মৃত্যু হয়। নৃশংস-বর্বরোচিত এ হত্যাকান্ডের পর ব্যপক প্রতিক্রিয়া ও খুনীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আন্দোলন হয়। ২৪ আগস্ট রিশার মা তানিয়া রাজধানীর রমনা থানায় একটি মামলা করেন।

ঘটনার পর থেকে ওবায়দুল পলাতক ছিলেন। ওই বছরের ৩১ আগস্ট নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারগাঁও থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ওবায়দুলের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। পরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় আসামী ওবায়দুল। জবানবন্দিতে রিশাকে খুন করার কথা স্বীকার করেন ওবায়দুল।

মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর ওবায়দুল হককে একমাত্র আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক আলী হোসেন। ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল মামলার ওবায়দুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।

নিহত রিশা রাজধানীর বংশাল থানাধীন সিদ্দিক বাজার এলাকার রমজান হোসেনের মেয়ে। ওবায়দুল দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মীরাটঙ্গী গ্রামের মৃত আবদুস সামাদের ছেলে। তিনি রাজধানীর ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং মলের বৈশাখী টেইলার্সের কর্মচারী ছিলেন।সূত্র:বাসস।