শৈলেরকান্দায় শ্রেণিকক্ষের বোর্ডে অভিযোগ লিখে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

শ্রেণিকক্ষের বোর্ডে অভিযোগ লিখে শৈলেরকান্দার মৌলভীনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মাহমুদুল হাসান মুক্তা, জামালপুর প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর সদর উপজেলার ইটাইল ইউনিয়নের শৈলেরকান্দায় মৌলভীনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল আলম ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শরাফত আলী খানের নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। ব্যানার হাতে নিয়ে নয়, শ্রেণিকক্ষের বোর্ডে অভিযোগ লিখে ৩০ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তারা এ কর্মসূচি পালন করে।

জানা গেছে, বিদ্যালয়টির শতাধিক শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় এলাকাবাসী ৩০ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয়ের সভাপতির বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উল্লেখ থাকা ব্ল্যাকবোর্ড নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় বিক্ষুব্ধরা প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। বিক্ষোভ কর্মসূচির কারণে বিদ্যালয়টিতে পাঠদান হয়নি।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির যোগসাজশে শিক্ষার্থীদের বই বিতরণে টাকা নেয়া, অধিক হারে মনগড়া পরীক্ষার ফি আদায়, বিনা প্রজ্ঞাপনে প্রধান শিক্ষক মনোনীত কমিটি গঠন করা, বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি, পরীক্ষার খাতায় নম্বর কম দেওয়া, প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় ২০ ছাত্রকে পরীক্ষার কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া, প্রতিদিন নির্ধারিত সময়ের আগে ছুটি দেওয়া, এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরণের ফি সর্বোচ্চ ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয় এবং অতিরিক্ত ফিয়ের কারণে অনেকেই এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। এসব অভিযোগের ব্যাপারে কিছু বলতে গেলে নানাভাবে শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়া হয়। অবিলম্বে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তারা।

বিদ্যালয়টির সভাপতি শরাফত আলী খান অভিযোগ প্রসঙ্গে বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘নিয়মানুযায়ী বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সকলকে সাথে নিয়েই বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকি। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’

অভিযোগ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক শহিদুল আলম বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র করে আসছে। আমি নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকি এবং শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করি। শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয়ের কমিটি গঠিত হয়ে থাকে। কমিটি গঠনে আমার একক কোনো কর্তৃত্ব নেই।’