শেরপুরে বিংগস প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

শেরপুরে বিংগস প্রকল্পের অবহিতকরণ সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জন কেনেডি জাম্বিল। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠি ডটকম

জামালপুর ও শেরপুর জেলার পুষ্টিগতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় শিশু এবং মায়েদের পুষ্টি স্থিতিশীলতাকে উন্নত করার লক্ষ্যে শুরু হওয়া বাংলাদেশ ইনিসিয়েটিভ টু এনহ্যান্স নিউট্রিশন সিকিউরিটি এন্ড গভরন্যান্স (বিংগস) প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা ২৭ ফেব্রুয়ারি শেরপুরে অনুষ্ঠিত হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জন কেনেডি জাম্বিল।

উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লার সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন চিকিৎসক মো. রেজাউল করিম, জেলা পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক চিকিৎসক পিযুষ চন্দ্র সুত্রধর, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবু ইলিয়াস মল্লিক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রকল্পের ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন বিংস প্রকল্পের ব্যবস্থাপক আবু সুফিয়ান এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম। উন্নয়ন সংঘ ও ওয়ার্ল্ড ভিশন যৌথভাবে অবহিতকরণ সভার আয়োজন করে।

অবহিতকরণ সভা সূত্রে প্রকল্পের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানা যায়, স্থানীয় বিভিন্ন বিভাগের কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশু পরিচর্যাকারী, পাঁচ বছরের নীচে শিশু, গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মা এবং কিশোরীদের পুষ্টি ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের উন্নয়ন করা। সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রো পুওর গভরন্যান্সের মাধ্যমে পুষ্টি সম্পর্কিত গুণগত মান ও সেবা বৃদ্ধি করা। উন্নত পারিবারিক খাদ্য উৎপাদন, আয় বৃদ্ধি এবং পারিবারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সমতা ও সংবেদনশীল পুষ্টি মূল্যক্রমের মাধ্যমে পারিবারিক খাদ্য গ্রহণের হার বৃদ্ধি। স্থানীয় জনসাধারণ, বেসরকারি পুষ্টি অংশীদার এবং স্থানীয় পুষ্টি কার্যক্রমের সমর্থনকারীদের মধ্যে আন্তঃসমন্বয় করা।

উল্লেখ, ১ লাখ ৫৩ হাজার ৮২৫টি দরিদ্র ও হতদরিদ্র পরিবার নিয়ে প্রকল্পটির কাজ শুরু হবে। এরমধ্যে ৯৩ হাজার ৮৭ জন পাঁচ বছরের নীচের বয়সি শিশু, ৫০ হাজার ৭৩২ জন গর্ভবতী দুগ্ধদানকারী নারী এবং ৪৪ হাজার ৭৩৫ জন কিশোরী রয়েছে। এই সংখ্যার মধ্যে আট হাজার ৮৪৬ জন প্রতিবন্ধী শিশু এবং ৬ হাজার ৮০৪ জন প্রতিবন্ধী নারী ও কিশোরী রয়েছে।

অবহিতকরণ সভায় সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, যুব ও নারী প্রতিনিধিসহ ৬০ জন অংশ নেন।

সভা সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পটির কাজের অধিক স্বচ্ছতার জন্য সরকারি, বেসরকারি কর্মকর্তাদের উদ্যোগে মাঠ পর্যায়ে যৌথ পরিবীক্ষণ ও পরিদর্শন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কার্যক্রমের অগ্রগতি প্রতিবেদন নিয়মিতভাবে উপস্থাপন করা হবে।