সরিষাবাড়ী আসনে বিএনপির প্রার্থিতা স্থগিত করেছে হাইকোর্ট

মো. ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম

মমিনুল ইসলাম কিসমত
সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠি ডটকম

হাইকোর্টের আদেশে জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান দল বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মো. ফরিদুল কবীর তালুকদারের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার খবরে প্রার্থী নিজে এবং তার সমর্থক বিএনপি নেতাকর্মীরা হতাশ ও বিস্মিত হয়েছেন। স্থবির হয়ে গেছে ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারণা ও ভোট প্রার্থনা।

জানা গেছে, এ আসনের বিএনপির প্রার্থী ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম গত ২৬ নভেম্বর ঢাকায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করে সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। সেই পদত্যাগপত্র মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেন। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর ২ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিনে তার পদত্যাগ গৃহিত না হওয়ার কারণ দেখিয়ে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতার বৈধতা ফিরে পান। তিনি যথারীতি ১০ ডিসেম্বর ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন।

হাইকোর্টের আদেশে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান দল বিএনপির প্রার্থীশূন্য হয়ে পড়ার খবর নির্বাচনী এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে প্রার্থী ফরিদুল কবীর তালুকদার নিজে এবং তার সমর্থক বিএনপি ও অঙ্গদলের নেতাকর্মীরা হতাশ ও বিস্মিত হয়েছেন। স্থবির হয়ে গেছে ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারণা ও ভোট প্রার্থনা। এ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীশূন্য হওয়ায় এখন চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়ে গেলেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য চিকিৎসক মুরাদ হাসান, জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের মোখলেছুর রহমান বস্তু, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ এর টেলিভিশন প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা বাবুল এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মো. আলী আকবর।

ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম ২০ ডিসেম্বর রাতে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, ‘আমি যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করেই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলাম। নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে আমার মনোনয়ন বৈধ করে আমাকে প্রতীক বরাদ্দও দিয়েছেন। আজকে হাইকোর্টের আদেশে আমার প্রার্থিতার বৈধতা স্থগিত করায় আমি বিস্মিত হয়েছি। রাষ্ট্র যদি একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করে ব্যবস্থা নেয়, এখানেই আমি নির্বাক।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি যতটুকু জানতে পারছি যে নির্বাচন কমিশনে করা আপিলের রায় স্থগিত হয়েছে। এখনও সময় আছে। আমি হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল বা রিভিউ করবো।’

এ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, ‘বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছি। তবে হাইকোর্টের আদেশের কোনো কপি এখনো পাইনি।