সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মাওলানা নুরুল ইসলাম আর নেই

মাওলানা নুরুল ইসলাম

মমিনুল ইসলাম কিসমত
সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের প্রবীণ রাজনীতিক, জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মাওলানা নুরুল ইসলাম আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় রাজধানীর এ্যাপোলা হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ নভেম্বর ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তিনি মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, রাজনৈতিক ভক্ত-শুভাকাঙ্খী ও গুণগ্রাহী রেখে যান। তাঁর মৃত্যুতে পরিবারের স্বজনদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। ১১ নভেম্বর দুপুরে তাঁর মরদেহ জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার পাখিমারা গ্রামে নিয়ে আসা হলে তাকে একনজর দেখতে সবাই ছুটে যান এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

জানা গেছে, ১১ নভেম্বর মাগরিবের নামাজের পর যমুনা সারকারখানা আবাসিক এলাকা মাঠে তারা নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সরিষাবাড়ী উপজেলার পাখিমারা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের হাজারো মানুষ তাঁর নামাজে জানাজায় অংশ নেন।

দলীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সদ্য প্রয়াত মাওলানা নুরুল ইসলাম রাষ্ট্রপতি এরশাদের শাসনামলে প্রথম গঠিত উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে সরিষাবাড়ী থেকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগে যোগদানের পর ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব ও এলজিআরডি মন্ত্রী ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালকুদারের সাথে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন প্রথম আওয়ামী লীগ সরকারের ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও জেলা ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) সভাপতি ছিলেন।

এদিকে সাবেক ধর্মপ্রতিমন্ত্রী মাওলানা নুরুল ইসলামের মৃত্যুতে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ জোয়ার্দার, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা, সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ হারুন-অর-রশিদ, সাবেক সংসদ সদস্য চিকিৎসক. মুরাদ হাসান, সরিষাবাড়ী পৌরসভার মেয়র রুকুনুজ্জামান রোকন, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম, জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মোখলেছুর রহমান বস্তুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।