সরিষাবাড়ীতে জুয়া অশ্লীল নৃত্যের মঞ্চ আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস

আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বালিয়া মেন্দা গ্রামের জুয়ার প্যান্ডেল ও অশ্লীল নৃত্যের মঞ্চ। ছবি : বাংলার চিঠি ডটকম

মমিনুল ইসলাম কিসমত, সরিষাবাড়ী ॥
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের যমুনা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলের বালিয়া মেন্দা গ্রামে অভিযান চালিয়ে জুয়ার মঞ্চ ও প্যান্ডেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করে জুয়া, অশ্লীল নৃত্য ও বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২৮ সেপ্টেম্বর দিবাগত গভীর রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী হাকিম মো. সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক জোয়াহের হোসেন খান ও পিংনা ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মোতাহার হোসেন জয় এ অভিযানে অংশ নেন।

পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে পাশের সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলার সীমানাঘেষা যমুনা নদীর দুর্গম চরাঞ্চল সরিষাবাড়ীর বালিয়া মেন্দা গ্রামে আবুল কালামের নেতৃত্বে একটি চক্র বেশ কিছুদিন ধরে জুয়া ও অশ্লীল নৃত্যসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিল। এতে সমাজে খারাপ প্রভাব দেখা দেয়। স্থানীয় সচেতনমহলের দাবির প্রেক্ষিতে ২৮ সেপ্টেম্বর রাত দেড়টার দিকে ইউএনও মো. সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের সহায়তায় জুয়ার আসরের প্যান্ডেল, মঞ্চ ও একটি জেনারেটর আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জুয়ার আসরের মালিক পক্ষ ও বেশ কয়েকজন জুয়ারি ও অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত নারীরা পালিয়ে যায়।

সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বাংলার চিঠি ডটকমকে বলেন, ‘অভিযানের সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয়দের সহায়তায় জুয়ার আসরের প্যান্ডেল, মঞ্চ ও একটি জেনারেটর আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, সামাজিক অপরাধ নির্মূলে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তবে এ ধরনের অপরাধ বন্ধ করতে সামাজিক সচেতনতা ও সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।