ধর্ষণের শিকার সাত বছরের শিশু জামালপুর হাসপাতালে ভর্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর ॥
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় সাত বছরের এক মেয়েশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২ সেপ্টেম্বর দুপুরে উপজেলার নয়ানগর ইউনিয়নের নয়ানগরপূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি ওই গ্রামের এক ইজিবাইক চালকের মেয়ে এবং স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনে নার্সারিতে পড়ে। তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সন্ধ্যায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ধর্ষণকারী প্রতিবেশী নবম শ্রেণির ছাত্র সুমন ও তার পরিবারের লোকজনরা গা ঢাকা দিয়েছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, মেলান্দহ উপজেলার নয়ানগর ইউনিয়নের নয়ানগরপূর্বপাড়া গ্রামের এক ইজিবাইক চালকের সাত বছরের ওই মেয়েটি ২ সেপ্টেম্বর দুপুরে পাশের বাড়ির মো. আজিজুল হকের উঠানে আরেক শিশুর সাথে খেলাধুলা করছিল। বেলা দু’টার দিকে আজিজুল হকের ছেলে নবম শ্রেণির ছাত্র সুমন ফুসলিয়ে শিশুটিকে তার ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে বাড়ি থেকে কেটে পড়ে। পরে শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে তার মায়ের কাছে গিয়ে সুমনের নাম উল্লেখ করে ঘটনা খুলে বলে। ধর্ষণের কারণে শিশুটির প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এতে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্বজনরা তাকে দ্রুত মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। পরে ২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় প্রসূতী ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

শিশুটির পরিবারের স্বজনরা জানিয়েছেন, শিশুটিকে ধর্ষণের ঘটনার পর থেকে ধর্ষণকারী সুমনের পরিবারের লোকজনরাও গা ঢাকা দিয়েছেন।

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) চিকিৎসক মো. শফিকুজ্জামান বাংলার চিঠি ডটকমকে বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর শিশুটিকে জরুরি চিকিৎসাসেবা দেওয়াসহ ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ৩ সেপ্টেম্বর সকালে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হবে।’

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মো. সাখাওয়াত হোসেন বাংলার চিঠি ডটকমকে বলেন, ‘মেলান্দহের নয়ানগরপূর্বপাড়া গ্রামে ধর্ষণের শিকার শিশুটির পিতা বাদী হয়ে তার মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী সুমনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। সুমনকে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযানে অব্যাহত রয়েছে।’