সরিষাবাড়ীর ১২টি গ্রামের মুসল্লিদের আগাম ঈদ উদযাপন

মমিনুল ইসলাম কিসমত, সরিষাবাড়ী ॥
সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় ১২টি গামের মুসল্লিরা ২১ আগস্ট পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন ও পশু কোরবানি দিয়েছে। সকাল নয়টার দিকে সরিষাবাড়ী পৌরসভার বলারদিয়ার গ্রামে ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদুল আজহার নামাজ পরিচালনা করেন আজিম উদ্দিন।

এই নামাজে উপজেলার বলারদিয়ার, সাতপোয়া, মুলবাড়ী, বালিয়া, পুটিয়ার পাড়, বগারপাড়, কইজুরি, মোনারপারা, দাশেরবাড়ী, হাটবাড়ী, সিংগুয়া, দিগপাইতসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক নারী পুরুষ এবং পরিবারের সকল সদস্য ঈদগাহে গিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন। এ সময় তারা বিশ্ব মুসলিম উম্মার শান্তি কামন করে দোয়া ও মোনাজাত করেন। পরে এখানে দুটি গরু ও দুটি ছাগল কোরবানি করা হয়।

কইজুরি গ্রামের মুসুল্লি সহকারী অধ্যাপক মো. মমতাজ উদ্দিন জানান, আমি এ বিষয়ে অনেক জানাশোনা করে গত দুই বছর ধরে এখানে সপরিবারে ঈদের নামাজ ও কোরবানি করে আসছি। ঈদে নামাজ পড়তে আসা মুসুল্লি বিপ্লব, খোকন, জুলহাস উদ্দিনসহ আরো অনেকেই বলেন, আমরা ইসলামের সত্য ও সঠিক নিয়ম মেনে এখানে নামাজ পড়তে এসেছি। সকল ভুল বোঝাবুঝির অবসান শেষ হয়ে একদিন মুসলমানরা অব্যশই একত্রে এই ধর্মীয় উৎসবগুলো পালন করবে। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বিগত কয়েক বছর ধরে এই এলাকার মানুষ ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, শবে-কদর, শবে মেরাজসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে আসছেন।

ঈদের জামাতের প্রধান খাদেম আজিম উদ্দিন বলেন, সারা বিশ্বে মুসলমানরা বিভিন্নভাবে গ্রুগে আলাদা। সেই লক্ষে ১৯৮৬ সালে ও আই সি সম্মেলনে সকল মুসলিম এক হয়ে ধর্মীয় উৎসব পালনের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।বিশ্বের ৫৭ মুসলিম দেশের মধ্যে শুধু বাংলাদেশ ব্যতিত ৫৬টি মুসলিম দেশ এই উৎসব পালন করে আসছে। তাই আমরাও সৌদি আরব সহ বিশ্বের আর অন্য দেশের ন্যায় আজ ঈদুল আযহা নামাজ আদায় করে পশু কোরবানি করলাম।

এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজেদুর রহমান বাংলার চিঠি ডটকমকে বলেন, গত কয়েক বছর ধরে যেহেতু বলারদিয়ার গ্রামে ঈদের নামাজ একদিন আগে অনুষ্ঠিত হয়। তাই আইন-শৃংখলা ঠিক রাখতে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল।