ঝিনাইগাতীতে প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ তুলে নিতে হত্যার হুমকি
সুজন সেন, শেরপুর ॥
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় এক বুদ্ধি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুকে (১৪) ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের জুলগাঁও গ্রামে। পরে যৌন হয়রানির শিকার ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত মুজিবুর রহমান ওরফে ফকিরকে (৫৫) আসামি করে ঝিনাইগাতী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই প্রতিবন্ধী শিশুর পরিবারের দাবি থানায় দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে নিতে ফকির ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা হত্যার হুমকিসহ নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং তাদের বিরুদ্ধে চুরি ও ডাকাতির কাউন্টার মামলা করে হয়রানি করছে। অন্যদিকে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করার ১১ দিন পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ফকিরকে আইনের আওতায় আনতে পারেনি পুলিশ।
২ জুলাই দুপুরে সরেজমিনে গেলে শিশুর মা জানান, ২০ জুন দুপুরে দাওয়াত খেতে ঘরের অন্য সদস্যরা চলে যাওয়ায় তিনি ও ওই শিশু ছিলেন বাড়িতে। এ সময় তিনি ঘরের গৃহস্থালির কাজে ব্যস্ত থাকার সুযোগে সন্ধ্যায় শিশুটিকে একা পেয়ে মুজিবুর রহমান ওরফে ফকির শিশুটির স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। বিষয়টি নজরে আসলে তার আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। এ সময় ফকির দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
শিশুটির দিন মজুর বাবা জানান, ঘটনাটি শুনে ফকিরের পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি অবহিত করা হয়। এরপরই অভিযুক্ত ফকিরের পরিবারের সদস্যসহ তার অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনরা আমার বাড়িতে লাঠি-ফালা নিয়ে হামলা করতে আসে। পরে বিষয়টি ২১জুন থানায় মামলা দায়ের করি। এখন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাদেরকে হত্যার হুমকিসহ ভয়ভীর্তি প্রদর্শন করে আসছে ফকির ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। শুধু তাইনা আমাদের বিরুদ্ধে চুরি ও ডাকাতির কাউন্টার মামলা করে হয়রানি করা হচ্ছে।
শিশুটির ভাই মুরাদ বলেন, আমরা যেন বাড়ি থেকে বের হতে না পারি সে জন্য ফকির ও তার লোকজন আমাদের যাতায়াত করার রাস্তায় গাছের কাঁটা দিয়ে ঘিরে রেখেছে। আমরা সবাই এখন আতংকের মধ্যে বসবাস করছি।
এ সম্পর্কে জানতে অভিযুক্ত মুজিবুর রহমান ওরফে ফকিরের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। যে কারণে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
লিখিত অভিযোগ দায়ের হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে ঝিনাইগাতী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন বলেন, ফকিরকে আইনের আওতায় আনতে চেষ্টা অব্যাহত আছে। তিনি জানান, পুলিশ সুপারের নির্দেশে গত সাতদিন যাবত টানা অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া অভিযুক্ত ফকির মুঠোফোন ব্যবহার না করায় তাকে ট্র্যাক করা যাচ্ছেনা।