জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদের আওতায় প্রতিবেদন প্রণয়ন বিষয়ক জামালপুরে পরামর্শ সভা

সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্ট্যাট শীতেষ চন্দ্র সরকার। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

শিশু অধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা, সরকারের মানবাধিকার সংক্রান্ত জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে শিশু, নারীসহ সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়ন ঘটানোর উদ্দেশ্যে জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদের আওতায় প্রতিবেদন প্রণয়ন বিষয়ক এক পরামর্শ সভা জামালপুরে অনুষ্ঠিত হয়।

চাইল্ড রাইটস অ্যাডভোকেসি কোয়ালিশন ইন বাংলাদেশের কারিগরী সহায়তায় বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম ও উন্নয়ন সংঘ যৌথভাবে আয়োজিত পরামর্শ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শীতেষ চন্দ্র সরকার।

উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লার সভাপতিত্বে এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের সমন্বয়কারী সাফিয়া সামি।

সভায় বক্তব্য রাখেন জামালপুর ডিবির অফিসার ইনচার্জ কাজী শাহনেওয়াজ। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

উন্নয়ন সংঘের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ডিটিআরসিতে অনুষ্ঠিত পরামর্শ সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাহনেওয়াজ, শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা ফারুক মিয়া, জামালপুর সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারজানা লিটা, ইউএনএফপিএ এর প্রতিনিধি আতাহার আলী, ওয়ার্ল্ড ভিশনের জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রামের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক সরোজ গ্রেগোরি, উন্নয়ন সংঘের জেলা ব্যবস্থাপক লিটন সরকার, জামালপুর পৌরসভার কাউন্সিলর সাইদা আক্তার প্রমুখ। সভায় দলীয় আলোচনা পরিচালনা করেন উন্নয়ন সংঘের সহকারী পরিচালক কর্মসূচি মুর্শেদ ইকবাল।

সভায় উপস্থিতিদের একাংশ।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

সভায় শিশু অধিকার ব্যবস্থাপনা, শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, বাল্যবিয়ের মতো ক্ষতিকর ও প্রচলিত চর্চা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিনোদনের অধিকার, শিশুশ্রম, কিশোর বিচার ব্যবস্থা, জলবায়ু ন্যায্যতা, রোহিঙ্গা শিশু এবং শিশু অধিকার সংক্রান্ত আইন ও চুক্তিসমূহসহ জামালপুরের শিশু পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্লেষণমুখী আলোচনা হয়। যা প্রতিবেদন প্রণয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, শিশু বিষয়ক প্রতিবেদন তৈরি, উপস্থাপন এবং তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের বিশ্লষণ শেষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারলে শিশুদের সুরক্ষা এবং স্বাভাবিক বিকাশের ক্ষেত্রে বিশাল অবদান রাখবে। জামালপুরের প্রেক্ষিত বিবেচনা করে আমরাও ভূমিকা রাখতে পারবো। তিনি প্রতিবেদনের খসড়া কপি ও তথ্য, উপাত্তগুলো সরবরাহ করার জন্য অনুরোধ জানান।