জামালপুরে দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

‘অসমতার বিরুদ্ধে লড়াই করি, দুর্যোগ সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি’ এ প্রতিপাদ্যের আলোকে ১৩ অক্টোবর জামালপুরে পালিত হয় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস।

সকাল ১০টায় শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ চত্বর থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান।

জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মোক্তার হোসেন। সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আনোয়ার, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন, জামালপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক ইকবাল হোসেন, জেলা মুক্তযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজাত আলী ফকির, উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, সাংবাদিক ফজলে এলাহী মাকাম, স্কাউট নেতা মাসুদুল হাসান, ওয়ার্ল্ড ভিশন জামালপুর এপির এরিয়া ম্যানেজার সাগর ডি কস্তা প্রমুখ।

দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে শহরে শোভাযাত্রা বের হয়।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

উল্লেখ্য, দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে এর আগে উপস্থিত বক্তব্য এবং দুর্যোগ মোকাবেলা ও প্রস্তুতি হিসেবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।

দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে প্রতিটি অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তা করে উন্নয়ন সংঘ, ওয়ার্ল্ড ভিশন, ব্র্যাক, ইসলামিক রিলিফ, ইএসডিও, রেডক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।

আলোচনা সভা শেষে উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান জয়বায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব বিস্তারের জন্য দায়ী মানুষের আচরণ, ভোগবিলাস এবং অনৈতিকতা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের অন্যতম কারণ মানুষর অসচেতনতা। নদী খনন, পরিকল্পিত বাঁধ নির্মান, নদী, পুকুর, খাল, বিল ভরাট না করা, বৃক্ষনিধন না করে ব্যপকভিত্তিতে গাছ রোপণ করা, বাড়ি নির্মাণসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণে প্রচলিত আইন মেনে চলা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করা, ভূমিকম্প, অগ্নিকাণ্ড এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করাসহ দুর্যোগ প্রসমনে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।