থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : থাইল্যান্ডের আইন প্রণেতারা ২২ আগস্ট দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্রেথা থাভিসিনকে নির্বাচিত করেছেন। নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের মাধ্যমে তারা দেশটিতে তিন মাসের রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়েছেন।

থাইল্যান্ডের ৩০তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার জন্য স্রেথা সহজেই পার্লামেন্টের দুটি কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেন, যদিও তার দল ফেউ থাই নির্বাচনের ফলাফলে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল।

পার্লামেন্ট টিভিতে সরাসরি সম্প্রচারিত ভোট গনণা অনুসারে এএফপি জানিয়েছে, স্রেথা নিম্নকক্ষের সংসদ সদস্য এবং সিনেটরদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ৩৭৪ ভোটের বেশি পেয়েছেন।

গত নির্বাচনে প্রায় ডজন খানেক দলের ফেউ থাইয়ের জোট নিম্নকক্ষের ৫০০ আসনের মধ্যে ৩১৪টি আসন দখল করে নেয়।

তবে দলটি নির্বাচনে সাবেক শত্রুদের জোটে স্বাগত জানিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল, যার মধ্যে সাবেক অভ্যুত্থানের সমর্থক দলগুলো রয়েছে, যারা ফেউ থাইয়ের শেষ প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল।

ফেউ থাইয়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান থাকসিন ২০০৮ সালের পর প্রথমবারের মতো থাইল্যান্ডে ফিরে আসার কয়েক ঘন্টা পরে ভোটটি অনুষ্ঠিত হয় এবং থাকসিনকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়।

থাই পার্লামেন্টে সবচেয়ে বেশি আসন জয়ী সংস্কারবাদী মুভ ফরওয়ার্ড পার্টির (এমএফপি) নেতাকে রক্ষণশীল, সামরিকপন্থী বাহিনী কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী হিসাবে অস্বীকার করার পর ফেউ থাই সরকার গঠনে পদক্ষেপ নেয় বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

থাই প্রোপার্টি ব্যবসায়ী সানসিরির সাবেক প্রধান স্রেথা শুক্রবার দারিদ্র্য ও অসমতা মোকাবিলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।