সাংবাদিক নাদিম হত্যায় দায় আদালতে স্বীকার করলেন প্রধান আসামি বাবু

চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবু। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকমের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবু দন্ডবিধি ১৬৪ ধারায় আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে সাংবাদিক নাদিম হত্যার সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে ডিবি পুলিশ ২৩ জুন তাকে জামালপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বকশীগঞ্জ আমলি আদালতে হাজির করলে আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আসামি বাবু। পরে সন্ধ্যায় আদালতের আদেশে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা জামালপুর ডিবি পুলিশের ওসি মো. আরমান আলী।

মামলা সূত্রে জানা যায়, পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবুকে ২৩ জুন বেলা দেড়টার দিকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পুলিশ কোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়। বেলা সাড়ে ৪টার দিকে তাকে বকশীগঞ্জ জিআর আমলি আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ পিয়াসের আদালতে হাজির করে দন্ড বিধি ১৬৪ ধারায় আসামি মাহমুদুল আলম বাবুর জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন করা হয়। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে আসামি বাবুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

আসামি বাবুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করে, জামালপুর ডিবি পুলিশের ওসি মো. আরমান আলী জানান, আদালতের আদেশে আসামি মাহমুদুল আলম বাবুকে পুলিশ ভ্যানে করে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

র‌্যাবের একটি দল গত ১৭ জুন পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের চরতিস্তাপাড়া থেকে প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবুসহ তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে।

সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে মাহমুুদুল আলম বাবু ও তার ছেলে বহিষ্কৃত ছাত্রলীগনেতা ফাহিম ফয়সাল রিফাতসহ ২২ জনের নামে এবং অজ্ঞাত আরো ২৫ জনের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবুসহ বাদীর এজাহারে উল্লেখ থাকা পাঁচজন আসামিসহ ১৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব, পুলিশ ও ডিবি পুলিশ। মামলাটির আসামি ফাহিম ফয়সাল রিফাতসহ মামলাটির এজাহারভুক্ত ১৭ জন আসামি পলাতক রয়েছে। হত্যার ঘটনার ১০দিন পার হলেও পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।