হাড়িয়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ, হামলা ভাংচুর, পরীক্ষা বর্জন

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরের ইসলামপুরে হাড়িয়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগে হামলা ভাংচুরের ঘটনাসহ পরীক্ষা বর্জনের ঘটনা ঘটেছে। পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ১৯ জুন বিদ্যালয়ের অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। বিভিন্ন সেশনের টাকা, পরীক্ষা ফি অতিরিক্ত চাহিদা মোতাবেক না দেওয়ায় অনেক পরীক্ষার্থী অংশ করতে না দিয়ে হল থেকে বের করে দেন প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দিন। এ নিয়ে এলাকার অভিভাবকের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এসময় পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে মিছিল ও ভাংচুর করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবু হাসেম বলেন, আমার কাছে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়েছে। বিজয় মিয়া বলেন, আমার নিকট ২ হাজার ২০ টাকা অতিরিক্ত টাকা চাওয়া হয়েছে। তারা আরও বলেন, অতিরিক্ত টাকা না দেওয়ায় প্রধান শিক্ষক আমাদের বাবাকে পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে বলেন। যথারীতি মোতাবেক স্কুলের বেতন পরিশোধ করলেও গরমের মাঝে ক্লাস করতে পারি না, কারেন্ট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে, সরকারের অনুদানের সোলার প্যানেলের প্লেটগুলো শিক্ষকদের বাড়িতে নিয়ে ব্যাবহার করে, বইসহ অন্যান্য জিনিস বিক্রি করে দেয়।

অভিবাবক মুকিত মিয়া, হান্নান মিয়া বলেন, অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ছেলেদের লেখা পড়া করাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের।

তারা আরও বলেন, ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রায় আড়াইশ শিক্ষার্থীর সুনামধন্য এ প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়ে আসলেও প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দিনের একাধিক অনিয়ম দুর্নীতির কারণে শিক্ষা পরিবেশ বিঘ্নিত হয়েছে। প্রধান শিক্ষক স্কুলের জমির মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করে।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দিনকে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, পার্থশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এই বিষয়ে সুরাহার উদ্যোগ নিয়েছেন। সুরাহা না হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।