ইট ব্যবসায়ী দাউদের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির মামলা, উদ্ধার হয়নি ৫০ লাখ টাকা

এ কে এম দাউদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরে ৫০ লাখ টাকার চেক জালিয়াতির অভিযোগে মামলা হয়েছে এ কে এম দাউদ নামে এক ইট ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। দাউদ জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বানিয়ানীর চর এলাকার মৃত আফতাব উদ্দিনের ছেলে। ঘটনার দুই বছর কেটে গেলেও এবং ইট ব্যবসায়ী দাউদের দেওয়া ভুক্তভোগী মাহফুজুর রহমানের কাছে একটি অঙ্গীকারপত্র থাকলেও এখন পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি তার ৫০ লাখ টাকা।

মামলা করেও টাকা উদ্ধার না হওয়ায় ভুক্তভোগী মাহফুজুর রহমান এখন হতাশ। সারা জীবনের সমস্ত সঞ্চয় হারিয়ে তিনি এখন পাগলপ্রায়। তার বাড়ি ইসলামপুর উপজেলার বোয়ালমারী গ্রামে। তিনিও একজন ব্যবসায়ী।

জানা যায়, এ কে এম দাউদ একজন ইটভাটার মালিক। ব্যবসায়িক প্রয়োজনে এ কে এম দাউদ ইট তৈরির মৌসুমে বিভিন্ন জনের কাছে টাকা ধার নেন। তিনি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য ২০২১ সালের ১৭ এপ্রিল ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমানের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা ধার নেন। তিনমাস মেয়াদে দু’পক্ষের মধ্যে একটি অঙ্গীকারনামা সম্পাদন করেন। পরে অঙ্গীকারনামার শর্ত অনুযায়ী এ কে এম দাউদ সোনালী ব্যাংক দেওয়ানগঞ্জ বাজার শাখার ৫০ লাখ টাকার একটি চেক (চেক নম্বর ৫৫৮৩৮৩৮) মাহফুজুর রহমানের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে তিন মাস পার হলে অভিযুক্ত এ কে এম দাউদের কাছে টাকা ফেরত চান ভুক্তভোগী। কিন্তু দাউদ তার টাকা ফেরত না দিয়ে পক্ষান্তরে ভুক্তভোগী মাহফুজুর রহমানকে হুমকি দিতে থাকেন। এরপর বাধ্য হয়ে মাহফুজুর রহমানকে দেওয়া চেকটি সোনালী ব্যাংকে জমা দিলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চেকটি ডিসঅনার করেন।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমান জানান, ইট ব্যবসায়ী এ কে এম দাউদ তার সাথে প্রতারণা করেছেন। তার জীবনের সমস্ত সঞ্চয়ের টাকা এখন দউদের হাতে। এ অবস্থায় পরিবার পরিজন নিয়ে তিনি মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

মামলার ব্যাপারে মাহফুজুর রহমান বলেন, টাকা লেনদেনের যাবতীয় নথিপত্র আদালতে আছে। প্রতারক দাউদের শাস্তিসহ টাকাগুলো ফেরত চাই।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত এ কে এম দাউদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে কোনো সাড়া দেননি তিনি।