শেরপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে কিশোরীসহ গ্রেপ্তার-৫

গ্রেপ্তার পাঁচজন। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর, বাংলারচিঠিডটকম: শেরপুরের শ্রীবরদী সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে এক কিশোরীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে বিজিবি।

১৫ মে বিকালে উপজেলার হারিয়াকোনা গ্রামের সীমান্তের ১০৯৫ পিলারের পাশে এলাকা থেকে তাদেরকে আটক কর হয়। এ ঘটনায় শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, ১৫ মে এক কিশোরীসহ ৮ জন যুবক শ্রীবরদীর পাহাড়ি এলাকা হারিয়াকোনা গ্রামে যায়। এ সময় সীমান্তের ১০৯৫ পিলারের পাশে সন্দেহাতীতভাবে তাদের দেখে এলাকাবাসী। পরে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে বিজিবি। পরে জিজ্ঞাসাবাদে ভিন্ন ভিন্ন ঠিকানা উল্লেখ করায় তাদেরকে শ্রীবরদী থানায় হস্তান্তর করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, শ্রীবরদীর সীমান্তের বকুলিকান্দা গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম (২৬), দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের মৃত ফারুক আহমেদের ছেলে ফরহাদুল ইসলাম (২৩), নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার ওকন্দীপুর গ্রামের আকরাম হোসেনের ছেলে নাজিম উদ্দীন (২২), ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর উপজেলার কলতাপাড়া গ্রামের আসাদ মিয়ার ছেলে জয় (৩০) ও বি-বাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ইটনা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার মেয়ে খাদিজা বেগম (২২)।

পলাতকরা হলেন, শ্রীবরদীর মেঘাদল গ্র্রমের ছলিম উদ্দিনের ছেলে ফারুক মিয়া (৩৪), বাবেলাকোনা গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে দিলু মিয়া (২৫) ও চান্দাপাড়া গ্রামের আজহার ঘোপার ছেলে জিনু মিয়া (২৫)।

এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা হয়েছে।

আটককৃতরা জানায়, আটক রফিকুল ইসলামসহ স্থানীয়দের সাথে তারা ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করে। তাদের মাধ্যমে এখানে তারা ঘুরতে এসেছিল। তবে আরেকটি সূত্র জানায়, তারা এ পথ দিয়ে চোরাইভাবে ভারতের একটি গার্মেন্টসে যাওয়ার জন্য এসেছিল।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কর্ণঝোড়া বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার জাকির হোসেন বলেন, আমরা সংবাদ পেয়েছি তারা অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। এ জন্য আমরা তাদেরকে গেপ্তার করেছি। তবে আরো তিনজন তাদের সাথে ছিল। তারা পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে শ্রীবরদী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আক্তার হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে আরো তদন্ত প্রয়োজন। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।