নিয়োগ বাণিজ্যের প্রতিবাদে খাশিমারা পুঠিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে মানববন্ধন

মেলান্দহের মাহমুদপুর ইউনিয়নের খাশিমারা পুঠিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ও তিনজন কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের খাশিমারা পুঠিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম, দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অর্থ আত্মসাতের প্রতিবাদে এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিদ্যালয়টির শিক্ষক-কর্মচারী, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসী। ৩০ এপ্রিল সকাল ১০টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি মো. হাসানুজ্জামান সোহাগ, সহকারী শিক্ষক মোহাইমেন ইসলাম, আব্দুল মতিন, ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মো. দৌলতুজ্জামান, সাবেক সহ-সভাপতি আইয়ুব আলী, বর্তমান সদস্য হারুন অর রশিদ, সাবেক সদস্য মো. মুরাদ্দুজ্জামান, লেবু মিয়া, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগনেতা আবু তালেব প্রমুখ।

মানববন্ধনে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. হারুন অর রশিদ অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান প্রধান শিক্ষক মো. মোখলেছুর রহমান ২০১৫ সালে এই বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই একক আধিপত্য বিস্তার করে আসছেন। সম্প্রতি তিনি বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও কতিপয় সদস্যের যোগসাজসে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ঘুষের বিনিময়ে চতুর্থ শ্রেণির তিনজন কর্মচারী এবং ১৫ লাখ টাকার ঘুষের বিনিময়ে একজন সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়ে কথা বললে প্রধান শিক্ষক আমাদেরকে হুমকি দেন, শিক্ষকদের শো-কজ করেন। তিনি এই বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর থেকে বিদ্যালয়ের কোন উন্নয়ন হয়নি। সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত চেয়ে আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করে এবং আদালতে মামলা করেও কোন প্রতিকার পাইনি। নিয়োগবাণিজ্যের এই অভিযোগের সঠিক তদন্ত করে প্রধান শিক্ষকসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আবু জাফর মো. আলমগীর বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ও তিনজন কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে কোন অনিয়ম বা দুর্নীতি করা হয়নি। স্বচ্ছতার সাথেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক মো. মোখলেছুর রহমান বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ও তিনজন কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে শুধু আমি একা জড়িত নই। ডিজি প্রতিনিধি, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদসহ নিয়োগ কমিটি মন্ত্রণালয়ের সকল নিয়ম অনুসরণ করে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে। একইভাবে নিয়োগ কমিটি চতুর্থ শ্রেণির তিনজন কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কারো কাছ থেকে ঘুষ নেওয়া হয়নি। নিয়োগবঞ্চিত প্রার্থীরা এবং একটি সার্থান্বেষী মহল আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই মিথ্যা অভিযোগে আন্দোলন করছে।