শেরপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ ও ক্লুলেস হত্যার প্রধান আসামি আটক

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর, বাংলারচিঠিডটকম: শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে প্রতিবন্ধী কিশোরী মীম আক্তারকে ফুসলিয়ে ধর্ষণ ও ক্লুলেস হত্যার প্রধান আসামী আল আমিন (২৭) কে আটক করেছে র‌্যাব-১৪। আজ বুধবার দুপুরে র‌্যাবের স্কোয়াড্রন লিডার ও কোম্পানী কমান্ডার আশিক উজ্জামান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চত করা হয়।

আটক আল আমিন ঝিনাইগাতী উপজেলার বাকাকুড়া গ্রামের শাহজাহানের ছেলে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ জুলাই সকালে ঝিনাইগাতী উপজেলা পূর্ব বাকাকুড়ার আবু সাঈদের বাড়ির পূর্বপাশে পাঁকা রাস্তা সংলগ্ন পুকুরের পানিতে প্লাষ্টিকে মোড়ানো একটি বস্তাবন্ধী লাশ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে লাশ পাওয়ার খবর পেয়ে ভিকটিমের আত্মীয় স্বজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিহিত কাপড়-চোপড় ও লাশটি দেখে নিশ্চিত হয় সে বাকাকুড়া গ্রামের মমিনের (৫৮) মেয়ে মীম আক্তার। এর আগে গত ২২ জুলাই বিকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় মীম।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, লাশ উদ্ধারের পর র‌্যাব-১৪, সিপিসি-১ জামালপুর ক্যাম্পের প্রতিনিধি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন এবং অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিকে চিহ্নিত এবং অবস্থান নিশ্চিত করা হয়। পরে ২৬ জুলাই রাতে একটি আভিযানিক দল ঝিনাইগাতীর ঘাঘড়া কামারপাড়া এলাকার আত্মীয়র বাড়ি থেকে অভিযুক্ত আল আমিনকে আটক করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আল আমিন ভিকটিমকে ফুসলিয়ে বাকাকুড়া বাজারের কালঘোষা নদীর পাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার ভয়ে ভিকটিমের পরিহিত ওড়না পেঁচিয়ে নিজেই এই নৃশংস হত্যাকান্ডটি ঘটায় বলে স্বীকার করে। এবং হত্যাকান্ডের বিস্তারিত বর্ণনা দেয়। এ ঘটনায় আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন আছে।

প্রসঙ্গত, ঝিনাইগাতীর বাকাকুড়া আদর্শগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী কিশোরী মীম আক্তারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তার পিতা মমিন মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ঘটনার বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে র‌্যাব-১৪।