জামালপুরের বকশীগঞ্জে তৃতীয়-পঞ্চমের ৫০ ভাগ শিক্ষার্থী নতুন বই পায়নি

জামালপুর সদরের বঙ্গবন্ধু আইডিয়াল স্কুলে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুর জেলায় মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে ১ জানুয়ারি নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে। তবে চাহিদার তুলনায় বই কম আসায় অনেক শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছায়নি। জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলায় তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শতকরা ৫০ ভাগ শিক্ষার্থী নতুন বই পায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।

জেলায় এবার বই উৎসব আয়োজন না থাকলেও সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি সকাল থেকেই প্রতিটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়েছেন শিক্ষকরা। কোথাও কোথাও জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়েছেন। জামালপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোজাফফর হোসেন ১ জানুয়ারি সকালে জামালপুর সিংহজানী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধু আইডিয়াল স্কুলে এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান ও সদরের ইউএনও লিটুস লরেন্স চিরান সদরের মাছিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করেছেন।

এদিকে জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর জেলায় ৫৯১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তিন লাখ ৭৩ হাজার ৫০২ জন ছাত্র-ছাত্রীর জন্য ৪৭ লাখ ৬৭ হাজার ২০টি বই বরাদ্দ এসেছে। এর মধ্যে সপ্তম শ্রেণির সব বই পাওয়া গেছে। এছাড়া ছাপাজনিত সমস্যার কারণে ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণির দুটি করে বিষয়ের এবং নবম শ্রেণির তিনটি বিষয়ের বই সরবরাহ না করায় এসব বই পায়নি শিক্ষার্থীরা। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরা মুস্তারী ইভা বাংলারচিঠিডটকমকে জানান, আজকে সারা জেলায় একযোগে শতকরা ৯০ ভাগ শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে। শ্রেণিভেদে না আসা বাকি বইগুলো ঢাকা থেকে পাঠালে পরে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

অপরদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক বাংলারচিঠিডটকমকে জানান, জেলায় এক হাজার ৬১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বইয়ের চাহিদা দেওয়া হয় ১৭ লাখ ৫ হাজার ৬৩৬টি বই। এর মধ্যে পাওয়া গেছে ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ৯৩৬টি বই। এতে আজকে শতকরা ৯২ ভাগ শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তিনি আরো জানান, ছাপাজনিত সমস্যার কারণে ঢাকা থেকে বই সরবরাহ না করায় জামালপুর সদরের সব শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দুটি করে বিষয়ের বই পায়নি। একই কারণে জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শতকরা ৫০ ভাগ শিক্ষার্থীর মাঝে বই বিতরণ করা সম্ভব হয়নি।