শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বিনির্মাণ হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

বক্তব্য রাকেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশে রূপান্তরিত হতো। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরসলভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ২৬ আগস্ট বিকালে উলিয়া এ এম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু যেমন একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের মহান স্থপতি, তেমনি বাংলাদেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলামের প্রচার-প্রসারের স্থপতিও তিনি। তার উদ্যোগেই ইসলাম সম্পর্কে গবেষণা, প্রচার-প্রসার ও মহান ধর্ম ইসলামের কল্যাণময় স্রোতধারায় সঞ্জীবিত করার লক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন একটি বড় সংস্থা হিসেবে দেশ-বিদেশে নন্দিত।

তিনি বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে পবিত্র কোরআনের বাংলা তরজমা, তাফসির, হাদিস গ্রন্থের অনুবাদ, রাসূল (সা.) এর জীবন ও কর্মের ওপর রচিত গ্রন্থ, ইসলামের ইতিহাস, আইন ও দর্শন, অর্থনীতি, সমাজনীতি, সাহাবি ও মনীষীদের জীবনী ইত্যাদি বিষয়ে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠান দেশের ৬৪টি জেলাতেই রয়েছে। তিনি আর্ত-মানবতার সেবায় ২৮টি ইসলামিক মিশন, ৭টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির মাধ্যমে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। বৃহত্তর কলেবরে ২৮ খন্ডে ইসলামী বিশ্বকোষ, ১২ খন্ডে সিরাত বিশ্বকোষ প্রকাশ করে ধর্মতাত্ত্বিক জ্ঞানের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বিশ্ব ইজতেমা স্থায়ী বন্দোবন্দ হিসেবে তুরাগ নদীর তীরবর্তী জায়গাটি প্রদান করেন। তাবলিগ জামাতের মারকাজ কাকরাইল মসজিদকে জমির ব্যবস্থা, মাদরাসা বোর্ড পুনর্গঠন, হজ ব্যবস্থা, বেতার টেলিভিশনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান প্রচার, মদ, জুয়া নিষিদ্ধকরণ ও শাস্তির বিধান, রাশিয়াতে প্রথম তাবলিগ জামাত প্রেরণ ব্যবস্থা করেছেন।

তিনি বলেন, ইসলামের প্রচার-প্রসারে বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের অবদান অনেক। মসজিদ মন্দিরের যে উন্নয়ন করেছে তা কল্পনাতীত। ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি নজিরবিহীন। করোনাকালীন মসজিদের ঈমাম ও মোয়াজ্জিনদের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। কওমি মাদরাসাকে স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আসাদুল্লাহ মাস্টারের সভাপতিত্বে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য হুসনে আরা, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা বারী মন্ডল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী আব্দুস সালাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইনজীবী জামাল আব্দুন নাছের বাবুল, পৌর মেয়র আব্দুল কাদের শেখ, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক আকন্দ, জেলা পরিষদ সদস্য ওয়ারেছ আলী, উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আক্রামুজ্জামান হিরু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মিয়া, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি সাইদুর রহমান স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বি এম রেজাউল করিম রেজার সঞ্চালনায় এতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী সভায় অংশ নেয়। পরে পনেরই আগস্ট ও একুশে আগস্টের সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।