চীন তালেবানের সঙ্গে ‘বন্ধু প্রতীম’ সম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রস্তুত রয়েছে

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ তালেবানরা আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করার পর ১৬ আগস্ট চীন সরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, চীন আফগানিস্তানের সঙ্গে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক’ সম্পর্ক আরো গভীর করতে প্রস্তুত রয়েছে।

বেইজিং আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের সময় তালেবানদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করেছে, যা তালেবানদের অগ্রযাত্রাকে উৎসাহিত করেছে এবং ১৫ আগস্ট কাবুল দখলের মাধ্যমে তাদের অভিযান সম্পন্ন হয়েছে। আফগানিস্তানের সঙ্গে চীনের ৭৬ কিলোমিটার (৪৭ মাইল) সীমান্ত রয়েছে।

বেইজিং দীর্ঘদিন ধরে আশঙ্কা করছে যে, আফগানিস্তান জিনজিয়াং অঞ্চলের মুসলিম সংখ্যালঘু উইঘুর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জন্য একটি সহায়ক কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।

কিন্তু গতমাসে তিয়ানজিনে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সাথে তালেবানের একটি শীর্ষ প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে প্রতিশ্রুতি দেয় যে, আফগানিস্তানকে বিদ্রোহীদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করতে দেয়া হবে না।

বিনিময়ে চীন আফগানিস্তানের পুনর্গঠনের জন্য অর্থনৈতিক সহায়তা এবং বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয়।

১৫ আগস্ট চীন বলেছে, তারা আফগানিস্তানের সাথে সম্পর্ক আরো গভীর করার সুযোগকে “স্বাগত” জানিয়েছে। ভূ-কৌশলগত গুরুত্বের কারণে যুগের পর যুগ আফগানিস্তানের প্রতি বৃহৎ শক্তিগুলোর আকর্ষণ তৈরি হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং সাংবাদিকদের বলেন, “তালেবানরা বারবার চীনের সাথে সুসস্পর্ক গড়ে তোলার আশা প্রকাশ করেছে এবং তারা আফগানিস্তানের পুনর্গঠন ও উন্নয়নে চীনের অংশগ্রহনের অপেক্ষায় রয়েছে।