শেরপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের ওপর সংঘবদ্ধ চক্রের হামলা, আহত ৫

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে শেরপুরের শ্রীবরদীতে চলমান লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে থাকা ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার সদস্যসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ সময় ভাংচুরের শিকার হয় ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি গাড়ি।

৪ আগস্ট দুপুরে উপজেলার ঝগড়ারচর বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার সময় এ ঘটনা ঘটে।

হামলার ঘটনায় আহতরা হলেন- বিজিবি ৩৯ ব্যাটালিয়ানের সদস্য রবিউল ইসলাম, সবুজ মিয়া, পুলিশের এএসআই আজহারুল হক, কনষ্টেবল জান্নাত মিয়া ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের একজন পেশকার।

এ ঘটনার পর থেকে ওই বাজারে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

সূত্র জানায়, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চলমান লকডাউন বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দুইজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যরা ঝগড়ারচর বাজারে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় লকডাউনের বিধি ভঙ্গ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার দায়ে একটি তৈরি পোশাক বিক্রির দোকান মালিকসহ আশপাশের আরও কয়েকটি দোকান মালিককে জরিমানা করা হয়।

এর পরপরই স্থানীয় কতিপয় ব্যবসায়ী ও একটি সংঘবদ্ধ চক্র পরিকল্পিতভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যরা ওই সংঘবদ্ধ চক্রটিকে প্রতিহত করতে গেলে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এক পর্যায়ে হামলাকারীরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে অবিরাম ইট, পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এ সময় আহত হন বিজিবি ও পুলিশের চার সদস্যসহ পাঁচজন। ভাংচুর করা হয় ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি গাড়ি।

আহতদের শরীরের বিভিন্ন অংশে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন শ্রীবরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক জুলফিকার সাইফ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা আক্তার বলেন, এ ঘটনায় দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।