দেওয়ানগঞ্জে ৫০ বছরেও নির্মাণ হয়নি সেতু, ঝুঁকি নিয়ে ১০ হাজার মানুষের ভোগান্তি

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার জিঞ্জিরাম নদী শাখা খালের ওপর গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বাঁশের সাঁকো। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বিল্লাল হোসেন মন্ডল, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) থেকে
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার জিঞ্জিরাম নদী শাখা খালে একটি সেতুর অভাবে মাখনের চর ও নিমাইমারী বাঘার চর গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে স্কুল, কলেজ শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ।

স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও ওই খালে নির্মাণ হয়নি একটি সেতু। প্রতিবছর গ্রামবাসী স্বেচ্ছা শ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে যাতায়াত করে থাকে।

জানা গেছে, উপজেলার সীমান্তবর্তী ডাংধরা ইউনিয়নের মাখনের চর ও নিমাই মারী, বাঘার চর গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের বসবাস। প্রতিবছর বন্যা মৌসুমে স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হয়ে থাকে। পশ্চিম পাশে বাঘার চর, কাউনিয়ার চর উচ্চ বিদ্যালয়, ইউনিয়ন পরিষদ, সানন্দবাড়ী হাট, মহাসড়ক, নিমাই মারী ও পূর্ব পাশে মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষা মাখনের চর গ্রাম। নদীর এক প্রান্তে কাউনিয়ার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, গালর্স স্কুল, কাউনিয়ার ও বাঘার চর বাজার। প্রতিদিন ওই এলাকার মানুষ ও শিশু শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে বাঁশে সাকোঁ দিয়ে চলাচল করে আসছে।

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার জিঞ্জিরাম নদী শাখা খালের ওপর গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বাঁশের সাঁকো। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

কৃষক হযরত আলী জানান, প্রতি বছর নিজেদের খরচে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি থই থই করে নরবড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে ভয় হয়।

ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান জানান, সেতুটি নির্মাণের জন্য আমরা অনেক দৌড়াদৌড়ি করছি কিন্তু আশার আলো দেখিনা।

ডাংধরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ মাসুদ জানান, জিঞ্জিরাম নদীর শাখা খালে সেতু না থাকায় ৫০ বছর ধরে মাখনের চর, বাঘার চর, নিমাই গ্রামের মানুষ যাতায়াতে ভোগান্তি শিকার হয়ে আসছে। সেতুটি নির্মাণ হলে এলাকার মানুষের ভাগ্যের সুফল আসবে। সেতু নির্মাণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।