বকশীগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে বিদ্যালয়ের গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ!

ভাটি খেওয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নেন জমিদাতা পরিবারের সদস্যরা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

২৬ জানুয়ারি মেরুরচর ইউনিয়নের ভাটি খেওয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভাটি খেওয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৩টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নেন স্থানীয় আজিমল হকের ছেলে আবদুল আউয়াল, তার চাচাত ভাই সাজু মিয়া ও শফিউল ইসলাম।

২৬ জানুয়ারি তারা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবা বেগমের সাথে যোগসাজশ করে প্রায় লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে নিয়ে যান। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে গাছগুলো দ্রুত সড়িয়ে ফেলেন তারা। আবদুল আউয়াল দাবি করেন তার জমির গাছ তিনি কেটেছেন।

স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, শুধু গাছ কেটে নেওয়ায় নয় আবদুল আউয়াল ও তার স্বজনরা মিলে জোর করে বিদ্যালয়ের জমি দখল করে বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করে ঘরে তুলে নিচ্ছেন। আর এতে সহযোগিতা করছেন প্রধান শিক্ষক নিজে।

এ ব্যাপারে ভাটি খেওয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবা বেগম জানান, কেটে নেয়া গাছগুলো বিদ্যালয়ের নয়। বিদ্যালয়ের জমিদাতা পরিবারের সদস্যরা তাদের নিজের জমির গাছ কেটে নিয়েছেন।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রশিদা বেগম জানান, বিদ্যালয়ের সীমানার গাছ কাটার বিষয়টি আমি শুনেছি, তারা গাছগুলো নিজেদের জমির বলে দাবি করেছেন। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে একজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।