করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে আক্রান্তদের দ্রুত শনাক্তে ‘এন্টিজেন টেস্ট’ শুরু সিলেটে

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে আক্রান্তদের দ্রুত সময়ের মধ্যে শনাক্ত করার লক্ষ্যে সিলেটের শহীদ ডা. শামসুদ্দিন হাসপাতালে এন্টিজেন টেস্ট শুরু হয়েছে।

৫ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা থেকে এই দ্রুত সার্ভিস এন্টিজেন টেস্ট শুরু হয়েছে সিলেট বিভাগের করোনা রোগীদের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল শহীদ ডাঃ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে। এই টেস্টের ফলাফল ২০ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে পেয়ে যাবেন সেবা গ্রহীতা। এ জন্য আপাতত কোনো ধরনের ফি নেওয়া হচ্ছে না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক চিকিৎসক আনিসুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে দেশের মধ্যে প্রাথমিকভাবে পঞ্চগড়, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, পটুয়াখালী, মেহেরপুর, মুন্সিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, যশোর, মাদারীপুর ও সিলেটে এন্টিজেন টেস্ট চালু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য জেলাগুলোতেও এই টেস্ট শুরু হবে। অ্যান্টিজেন টেস্টের জন্য সংশ্লিষ্ট ১০টি জেলার চিকিৎসক, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও পরিসংখ্যানবিদদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে সরকার।

সিলেটের শহীদ ডা. শামসুদ্দিন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা চিকিৎসক সুশান্ত কুমার মহাপাত্র জানান, আজ (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়। যাদের শরীরে তিন দিনের বেশি সময় ধরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ বা উপসর্গ আছে , তাদেরকেই দ্রুত সেবা দেওয়ার জন্য এন্টিজেন টেস্টের উদ্যোগ নিয়েছেন সরকার। যাদের মধ্যে কোনো উপসর্গ নেই, তাদের নমুনা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আরটি-পিসিআর ল্যাবেই পরীক্ষা করা হবে। ওসমানী মেডিকেল কলেজ এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আরটি-পিসিআর ল্যাব চলমান আছে।

তিনি জানান, আজ দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত সিলেটের শামসুদ্দিন হাসপাতালের ল্যাবে মোট ১০ জনকে এন্টিজেন টেস্ট করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ৫ জনের ফলাফল করোনা পজিটিভ এসেছে।

সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক চিকিৎসক হিমাংশু লাল রায় বলেন যাদের শরীরে ৩ দিন বা এর বেশি সময় ধরে করোনার উপসর্গ যেমন, জ্বর, সর্দি, কাঁশি,গলা ব্যাথা,নাকের মধ্যে কোন ঘ্রান না পাওয়া প্রভৃতি, আছে, তাদেরকে অ্যান্টিজেন টেস্টের আওতায় আনা হবে। উপসর্গ না থাকলে তাদেরকে আরটি-পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে ।’

তিনি জানান এন্টিজেন টেস্টের জন্য সরকার আপাতত কোনো ফি নির্ধারণ করেনি,এজন্য এটা বিনামূল্যে করা হবে। এ টেস্টের জন্য সিলেটে ৫০০ কিট রয়েছে,আরও ৫০০ কিট আসার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এটির কোন অসুবিধা আপাতত নেই,এ টেস্ট অব্যাহত থাকবে। আক্রান্তদের কোন রকম হয়রানি ছাড়া দ্রুত সেবা দেওয়া এবং করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার এ দ্রত সেবা চালু করেছেন।এতে যেমনি আক্রান্তদেরকে দ্রুত চিকিৎসার আওতায় আনা সম্ভব হবে এবং মানুষ করোনার ঝুকি থেকে অনেকটা রক্ষা পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।সূত্র:বাসস।